ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলা এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিংকি (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সে মারা যায়। পিংকি একই এলাকার মুন্না বিহারীর মেয়ে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর নিহতের স্বামী সৌরভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, শহরের আদর্শপাড়া এলাকার সাত্তার মন্ডলের ছেলে সৌরভের সঙ্গে একই এলাকার মুন্না বিহারীর মেয়ে পিংকির দুই মাস আগে বিয়ে হয়। এর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে পিংকি।
তখন সৌরভ তাকে বিয়ে করতে রাজি না হলে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরে বিয়ের শর্তে সে মুক্তি পায়। এরপর বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। একপর্যায়ে চলতি মাসের ১৬ তারিখে স্ত্রী পিংকির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী সৌরভ।
তখন গুরুতর আহত অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় পিংকি। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সৌরভকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, স্ত্রীকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে নিজেও কিছুটা দগ্ধ হয়েছিল সৌরভ। শুনেছি নিহত পিংকি অন্তঃসত্ত্বা। তবে সঠিক তথ্য ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে।