আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী স্মার্টফোন। অতিরিক্ত ব্যবহার করলে অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের মতো স্মার্টফোনও স্লো হয়ে যায়। করোনা মহামারীর কারণে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু থাকার কারণে স্মার্টফোনের ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। বেশি ব্যবহারের কারণে অনেকের স্মার্টফোন স্লো হয়ে গেছে। স্মার্টফোন স্লো বা হ্যাং হয়ে গেলে কাজের ক্ষেত্রে নানান অসুবিধা হয়। স্মার্টফোন স্লো হয়ে গেলে যেসব কাজ করা উচিত সেসব কাজ সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাবো-
অপারেটিং সিস্টেম আপডেট
স্মার্টফোন স্লো হওয়ার প্রধান কারণ অপারেটিং সিস্টেম সবসময় আপডেট না থাকা। অপারেটিং সিস্টেমকে সংক্ষেপে ওএস বলা হয়। ওএস আপডেট রাখা খুবই প্রয়োজন। কারণ স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো ওএসের আপডেটে বাগ ও ল্যাগ ফিক্স করে থাকে। সে কারণে ওএস আপডেট না থাকলে স্মার্টফোন স্লো হয়ে যায়। তাই স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম সবসময় আপডেট রাখতে হয়।
অ্যাপসগুলো আপডেট রাখা
স্মার্টফোনের গতি স্লো হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ অ্যাপস আপডেট না রাখা। যেকোনো অ্যাপস আপডেট করা হলে ব্যবহারকারীর কাছে সেই অ্যাপস সম্মতি চায়। ব্যবহারকারীকে কেবল অ্যাপটি আপডেটের জন্য সম্মতি দিতে হবে। এতে স্মার্টফোনকে স্লো হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়।
ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট
স্মার্টফোনটি যদি অতিরিক্ত স্লো হয়ে যায় তাহলে ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করে নিতে হবে। অ্যান্ড্রইড মোবাইলে ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করতে চাইলে সব ডাটার ব্যাকআপ রেখে দেয়া উচিত। কারণ ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করার পর স্মার্টফোনে পুরনো কোনো ডাটা থাকে না। ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট হয়ে গেলে নতুন করে সবকিছু সেট আপ করতে হবে।
মেমোরি স্টোরেজ ফুল
স্মার্টফোন স্লো হওয়ার আরেকটি কারণ মেমোরি স্টোরেজ ফুল হয়ে যাওয়া। ছবি, ভিডিও, গান, মেসেজ বা কনট্যাক্ট মেমোরি ফুল হয়ে গেলে স্মার্টফোন অস্বাভাবিকভাবে স্লো হয়ে যায়। তাই অপ্রয়োজনীয় জিনিস স্মার্টফোনে রাখা ঠিক নয়। যদি এমন কোনো ছবি বা ভিডিও স্মার্টফোনে থাকে তবে সেসব ছবি বা ভিডিও ডিলিট করে দিন।
ক্যাশে ক্লিয়ার করুন
স্মার্টফোনের ক্যাশে ডেটা ক্লিয়ার না করা স্লো হওয়ার অন্যতম কারণ। এসব ফাইল ক্লিয়ার করে স্মার্টফোনের গতি আরও দ্রুত করা যায়। স্মার্টফোনে ক্যাশে ক্লিয়ার করতে হয় স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে। তবে এই ক্যাশের ফলে স্মার্টফোনের গতি কমে যায়। ক্যাশে ক্লিয়ার করার জন্য- সেটিংস > স্টোরেজ > ক্যাশে-তে যেতে হবে। এরপর ক্যাশে ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস রাখবেন না
স্মার্টফোনে যদি অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস রাখা হয় তাহলে সেটি স্লো হয়ে যায়। অদরকারী অ্যাপস ডাউনলোড করলে স্মার্টফোন বারবার হ্যাং হতে থাকে। এতে কাজের সময়ে বিব্রত হতে হয়। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস স্মার্টফোন ডিভাইসে না রাখাই ভালো। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অ্যাপ রাখলে স্মার্টফোনের গতিশীলতা নষ্ট হয়।