স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে গতি আনতে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনের কেন্দ্রীয় সেমিনার হলে ভূমি সংস্কার বোর্ড আয়োজিত ‘দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান। ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডলের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে গতি আনতে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এই পরিকল্পনার আওতায় বেশকিছু জেলায় অবস্থিত ভূমি অফিসগুলোকে নিবিড় তত্ত্বাবধানে আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ৬৪টি জেলার মধ্যে প্রথমে কিছু জেলা বাছাই করার উদ্দেশ্য হচ্ছে নিবিড় তত্ত্বাবধানের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ এবং বাকি জেলাগুলোতে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য তা থেকে একটি টেকসই মডেল দাঁড় করানো।
মন্ত্রী কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী এডিসি রেভিনিউ ও এসিল্যান্ডদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের আওতায় যারা কাজ করে নাগরিকদের ভূমি সেবা দিচ্ছেন, যেমন কানুনগো, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ার… তাদের কাজে আপনাদের নেতৃত্বের প্রতিফলন হয়। ভূমি প্রশাসনে নেতৃত্বে দেওয়ায় এগিয়ে থাকতে হলে ভূমি বিষয়ক আইন-কানুন ও বিধিবিধানসহ সংশ্লিষ্ট জ্ঞান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আয়ত্তে থাকতে হবে। এ সময় ভূমি বিষয়ক আইন-কানুন ও বিধিবিধান নিয়মিত চর্চা করার উপর গুরত্বারোপ করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি সেবা দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
ভূমি সচিব বলেন, ভূমি প্রশাসনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা না পেলে সামগ্রিকভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। কেননা প্রতিটি সেক্টরই ভূমির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এ সময় তিনি জানান, ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান ও ম্যাপ সেবা নিতে বর্তমানে আলাদাভাবে সিস্টেমে প্রবেশ করতে হয়। ভূমিসেবা গ্রহীতাদের সুবিধার্থে একবার লগইন করেই যেন এই সেবা গ্রহণ করা যায়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।