জাকারিয়া হোসাইন শাওন:: নতুন বছরে বাগেরহাট এর বিভিন্ন বাজারে দাম বেড়েছে সব ধরনের এলপি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম) গ্যাসের। সিলিন্ডার প্রতি একলাফে বেড়েছে ১০০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা করে। গত বছর কয়েকদফা দাম বেড়ে বর্তমানে ৯৫০ টাকা থেকে হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে করোনার মধ্যে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সঙ্কট আরও বেড়েছে।
বাগেরহাট সদর এর চুলকাঠি বাজারের শাওন এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার মো.জাকির হোসেন বলেন, সিলিন্ডার প্রতি হঠাত্ ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই গ্যাসের ব্যবহার সীমিত করে বিদ্যুত্ ও কাঠের ব্যবহার বাড়িয়েছেন। একলাফে অধিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রেতাদের নানা প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
একটি কোম্পানির ডিলার রবিউল ইসলাম জানান, তাকে বাড়তি দামে গ্যাস কিনতে হচ্ছে। অস্থির এ বাজার শিগগিরই স্বাভাবিক হবে কি না এমন কোনো তথ্য তার কাছে নেই।তবে তিনি কোম্পানির অফিসার দের কাছে জেনেছেন গ্যাসের কাচামাল প্রপেন ও বিউটেন এর দাম বাড়ার প্রভাবে এমন অবস্থা হয়েছে।
অন্য একটি কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বেড়েছে।লিক্যুইড কাচামাল এর টন প্রতি প্রায় ১৮০ ডলার করে বাড়ার কারনে গ্যাসের দাম বাড়ছে। সামনে আরো বাড়তে পারে।
গ্রাহক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতি ২৫-৩০ দিন পর আমার একটা করে গ্যাস লাগে। গত মাসে যে গ্যাস ৮৫০ টাকায় কিনেছি তা বর্তমানে ১ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। গ্যাস নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে আছি।
চুলকাঠির বাসিন্দা রাজীব হাসান শিমু বলেন, প্রায় ২০০ টাকা বেশি দিয়ে গ্যাস কিনতে হয়েছে। যে গ্যাসের দাম ছিল ৮০০ টাকা সেই গ্যাসের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার টাকা। কোম্পানিগুলো ইচ্ছা মতো দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন নীরব।