চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃহাওর সাজানো হচ্ছে। যখন আরও সাজানো হবে তখন বিদেশি পর্যটকরা এখানে আসবে। তবে কোনো রাঘব বোয়াল- যারা এসব জমি খেয়ে ফেলবে তারা যেন জমি কিনতে পারে না। কোনো রাঘব বোয়ালকে হাওরের জমি কিনতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে রাষ্ট্রপতির সাবেক নির্বাচনি এলাকা কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে এক সুধি সমাবেশে যোগ দিয়ে এসব কথা জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যখন আমি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার রোডের কাজ শুরু করলাম। তখন বিভিন্ন বড় লোকেরা- কেউ একশ একর, কেউ পাঁচশ একর, এমনকি এক হাজার একর পর্যন্ত জমি কেনা শুরু করল। এ ধরনের কথা যখন শুনলাম, আমি নেতৃবৃন্দকে বলেছি, কর্মকর্তাদের বলেছি, হাওরে জমি কেনাবেচা চলতে পারে। কিন্তু অষ্টগ্রামের জমি অষ্টগ্রামের মানুষ কিনতে পারে। ইটনার জমি ইটনার মানুষ কিনুক তাতে কোনো সমস্যা নেই। মিঠামইনের মানুষ মিঠামইনের জমি কিনতে পারে। তবে কোনো রাঘব বোয়াল- যারা এসব জমি খেয়ে ফেলবে তারা যেন জমি কিনতে না পারে।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘আজকে আমার বুক ভরে যায়, ভালো লাগে। যখন দেখি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই হাওর এলাকা দেখার জন্য মানুষ ছুটে আসছে। হাওর সাজানো হচ্ছে। যখন আরও সাজানো হবে, আরও গোছানো হবে, তখন বিদেশি পর্যটকরা আসবে এই হাওরে। সেজন্য হাওরের সৌন্দর্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জে সাত দিনের সফরে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সফরের ষষ্ঠ দিনে সুধি সমাবেশে যোগদানের জন্য ইটনা থেকে অষ্টগ্রাম যান রাষ্ট্রপতি। অষ্টগ্রামের জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে সুধি সমাবেশে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, অষ্টগ্রাম সরকারি রোটারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোজতাবা আরিফ খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চু।