খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে সুপার গ্লু (আঠা) লাগিয়ে ও হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর স্বজনরা।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, রোববার রাতে কে বা কারা মই দিয়ে ছাদে প্রবেশ করে সিড়ির দরজা শাবল দিয়ে ভেঙে গৃহবধূর শয়ন কক্ষে প্রবেশ করেন। ওই গৃহবধূর স্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে থাকায় তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। এরপর গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে চোখে সুপারগ্লু আঠা লাগিয়ে মুখে টেপ লাগিয়ে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এক চোর। ওই সময় তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে সে। এরপর বাড়ি থেকে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল এবং আনুমানিক দু’লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ওই চোর। পরে গৃহবধূর গোঙানির শব্দে আশেপাশের লোকজন এসে তার স্বামীকে খবর দেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, একতলা ছাদের ওপরের সিড়ি ঘর খোলা ছিল। আমার স্ত্রীর চোখ ও মুখ সুপারগ্লু আঠা দিয়ে আটকে দেয় ধর্ষক। আমার স্ত্রী কথা বলতে পারছে না, তাই কয়জন চোর ছিল এখনই তা বলা যাচ্ছে না।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, গৃহবধূকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ধর্ষণ হয়েছেন কিনা বা সুপারগ্লু দিয়েছে কিনা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।