শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও চুপ করে বসে নেই। ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছেন। এ কারণে দেশে এখনো বিপদ কাটেনি। এক সময় উনি খুব বড় গলায় বলতেন, আমি পালাব না। দেশেই থাকব। আমি শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, কোনোদিন পালাই না; কিন্তু আজ লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন ভারতে। তিনি বর্তমানে সেখানে বসে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছেন। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চক্রান্ত করছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে যারা মানুষ হত্যা করেছে, সেসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ তেঁতুলতলা মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির দ্বিতীয় দিনের অংশ হিসেবে খুলনা বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি পালন অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার ফ্যাসিবাদ খুনি ও গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদেও বিচারের দাবির কর্মসূচিতে মঞ্জু আরো বলেন, দেশে এখনো বিপদ কাটেনি। আবারও মাথা চাড়া দিতে পারে এই স্বৈরাচার হাসিনা। এই বিপদ মোকাবিলা করতে আমাদের সব ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। তিনি সকল নেতাকর্মিদের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে নতুন স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে সম্প্রীতির সমাবেশ সফল করার আহবান জানান।
অবস্থান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মীর কায়ছেদ আলী, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, নিজাম উর রহমান লালু, কামরান হাচান, এড. মুজিবর রহমান, শামীম আশরাফ, নুরুল ইসলাম লিটন, রাজিবুল আলম বাপ্পি, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, শামীম খান, সুলতান মাহমুদ সুমন।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন এডভোকেট ওমর আলী সিরাজুল হক নান্নুর পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম বাবু, মহিবুজ্জামান কচি, ইকবাল হোসেন খোকন, আনোয়ার হোসেন, সাদিকুর রহমান সবুজ, এড. গোলাম মওলা, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, তরিকুল্লাহ খান, শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, ইশহাক তালুকদার, কাজী মাহবুবুল হক, আকরাম হোসেন খোকন, রফিকুল ইসলাম শুকুর, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, বাচ্চু মীর, ওমর ফারুক, আব্দুল মতিন, আব্দুল জব্বার, মিজানুর রহমান খোকন, মাহবুব হোসেন, রুহুল আমিন, মেহেদী হাসান সোহাগ, এড. রফিকুল ইসলাম, এড. কামাল হোসেন, কাজী ফজলুল কবির টিটো, জাকারিয়া লিটন, লিটু পাটোয়ারী, এড. ওমর ফারুকসহ অন্যন্য নেতাকর্মীরা।