বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, পরাজিত স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দোসররা জাতীয় উৎসব দূর্গাপুজা নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি উস্কে দিতে চায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী বিএনপি সবসময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সুদূর অতীত থেকে সচেষ্ট রয়েছে। বিএনপি সনাতন ধর্মালম্বীদের নিজ নিজ ধর্ম পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। তেমনিভাবে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গাপূজা ভক্তিপূর্ণ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পূজা মন্ডপের আশপাশের এলাকায় নিয়োজিত থাকবে। আর সাম্প্রদায়িক কোন অপশক্তি যদি হিন্দুদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পালনে ন্যূনতম ব্যাঘাত সৃষ্টি করলে বিএনপি তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর একটি হোটেলে শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৪ উপলক্ষে খুলনা জেলা পূজা উদযাপন নেতৃবৃন্দের সাথে কেন্দ্রীয় বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশ অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত সফল হবে না উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, ৫ আগস্টের পরাজিত পতিত শক্তিরা বসে নাই। তারা একটা নাশকতা করার চেষ্টা করবে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দেবো। বিএনপির একটি টিম প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে খোঁজ রাখবে এবং হিন্দু ভাইদের সহযোগিতা করবে। আমরা চাই সবাই যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করুক।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ বক্তার বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বওেলন, স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি বিশ্বাসী অবিশ্বাসী কিংবা সংস্কারবাদী প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করা। একটা ভয়াবহ দানবের বিরুদ্ধে একটা অবিশ্বাস্য বিপ্লবের মধ্য দিয়ে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই করে বিজয় অর্জন করেছি। এই বিজয় কোনভাবেই নস্যাৎ হতে দেয়া হবে না।
মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কৃষ্ণপদ দাস, সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা, বিজয় কুমার ঘোষ, রতন কুমার বিশ্বাস, প্রফুল্ল কুমার রায়, অনিমেশ সরকার রিন্টু, শক্তিপদ বসু, দেবপ্রসাদ সরকার, অনুপম মিত্র, অশোক কুমার আচর্য্য, প্রদীপ বিশ্বাস, প্রানকৃষ্ণ দাস, দিলীপ বৈরাগী, সুজন মন্ডল, বাবু রাম মন্ডল, মনি শংকর নাথ, শংকর বালা প্রমূখ।