সরকারি নির্দেশ মেনে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে প্রচার করেননি। এর জেরে ১০০ জন ইমাম ও ইসলাম প্রচারককে বরখাস্ত করেছে সৌদি আরব।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও সরকারের রোষাণলে পড়ার ভয়ে সবাই চুপ করে আছেন।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়েছে, গত মাসে সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা ইসলামের নামে ভুল শিক্ষা দিচ্ছে। সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। তাই দেশের প্রত্যেক ইমাম ও ইসলামিক ধর্মপ্রচারককে তাদের বিরুদ্ধে প্রচার করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পর মুসলিম ব্রাদারহুডের উদ্দেশ্যের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। ওই সংগঠন নিজেদের স্বার্থে কীভাবে ধর্মকে ব্যবহার করতে চাইছে তার স্বরূপ তুলে ধরতে হবে। তারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা মানুষের কাছে পৌঁছনোর পরিবর্তে নিজেদের দলীয় স্বার্থ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলেও জানাতে হবে মানুষকে। ’
সরকারি নির্দেশে থাকা সত্ত্বেও ২০১৪ সালে সৌদি আরবে নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়া মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে কুৎসা করতে রাজি হননি মক্কা ও আল কাসিমের ১০০ জন ইমাম ও ইসলামিক প্রচারক। এর জেরে তাদের বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করে সৌদি আরবের সরকার। ফলে ওই ব্যক্তিরা আর কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সভায় বক্তব্য রাখতে পারবেন না।