রাশেদ খান। ঢাকা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ক্যাশসহকারী। পিপাসা বার অ্যান্ড নাইটেঙেল রেস্তোরাঁ থেকে মাত্র ১০০ টাকার খাবার কিনে জিতে নিয়েছেন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার।
ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিনের বদৌলতে তিনি লটারিতে দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ওই অর্থ জিতে নেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাশেদ খানসহ বিজয়ী ১০ জনের হাতে পুরস্কারের প্রাইজমানির চেক তুলে দেন ঢাকার (দক্ষিণ) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাটের কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবির।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের বাসিন্দা মো. রনি হোসেনকে প্রথমবারের মতো ইএফডি লটারির চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। তিনি গত জানুয়ারি মাসে প্রিন্স সুইটস ও বেকারির একটি শাখা থেকে ১৯৫ টাকার খাবার কিনে ওই পুরস্কার জেতেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির আয়োজন করা হয় এবং ১০১ বিজয়ীর ইনভয়েস নম্বর ঘোষণা করা হয়।
ইএফডি লটারির পুরস্কার পেয়েছেন যারা
প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাট প্রদানকারীদের পুরস্কারের জন্য লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইএফডি লটারিতে প্রথম পুরস্কারের নির্বাচিত নম্বর হচ্ছে- 002221GEMMWAK039। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নম্বর হলো- 001820SPXYAOH781 ও 002120DXEDECM637।
একজন ভ্যাটদাতা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পুরস্কার পাবেন। দ্বিতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার ও তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া ৯৪ ভ্যাটদাতা পাচ্ছেন ১০ হাজার টাকা করে। ১ জানুয়ারি হতে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্যু করা ইএফডি চালানের ওপর ওই লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারির মাধ্যমে প্রাপ্ত পুরস্কারে টাকা আয়করমুক্ত।
ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন চালু করে এনবিআর। ইএফডি হলো আধুনিক হিসাবযন্ত্র। এটি ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টারের (ইসিআর) উন্নত সংস্করণ। এ যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত লেনদেন বা বিক্রির তথ্য জানতে পারছে এনবিআর। এর মধ্যে কত অংশ ভ্যাট তা জানা যাবে। ফলে ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে এবং আদায়ও বাড়বে।
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দৈনিক লেনদেনের তথ্য তদারকিতে রাজস্ব বোর্ডের সার্ভারের সঙ্গে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে ইএফডি মেশিন। সার্ভার ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট এনবিআর চেয়ারম্যান আনুষ্ঠানিকভাবে ইএফডি মেশিন স্থাপনের উদ্বোধন করেন। এখন পর্যন্ত ১৪৭১ প্রতিষ্ঠানে একটি করে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।