আজ রোববার (১১ এপ্রিল) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান এক সপ্তাহের বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন করে কঠোর লকডাউন আসছে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে। তাই মাঝখানের দু-দিন (১২ ও ১৩ এপ্রিল) কীভাবে চলবে, কোনো বিধিনিষেধ থাকবে কি-না সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এখন যেভাবে চলছে, ১২ ও ১৩ এপ্রিলও (সোম ও মঙ্গলবার) সার্বিক কার্যক্রমে মোটামুটি এভাবেই বিধিনিষেধ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।
সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও সারা দেশে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর বিধি-নিষেধ আসছে।
এই বিধি-নিষেধের আওতায় গত বছরের মতো জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-আদালত, কলকারখানা, পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা আসছে। কিন্তু সরকারের জারি করা আগের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। ১৪ এপ্রিলের আগে মাঝখানে আরো দুদিন সোমবার ও মঙ্গলবার। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই দুদিন বাস-ট্রেন চলবে কি না। তবে আজ রবিবার নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি হলে সবকিছু পরিষ্কার হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে রবিবার (আজ) সকালের মিটিংয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। আর আমরাও নতুন প্রজ্ঞাপন এবং দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে, আগামীকাল সোমবার (১২ এপ্রিল) ও পরের দিন মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বাস চলাচল করবে কি না, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ কিছু জানেন না। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা না আসা পর্যন্ত পরিষ্কার নয় এই দুদিন আন্ত জেলা বাস চলবে কি না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘রবিবার (আজ) থেকে কী হবে আমরা এখনো জানি না। নিষেধাজ্ঞা না আসলে আমরা ১২ ও ১৩ এপ্রিল বাস চালাতে চাই। এ নিয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তিনিও এখন পর্যন্ত কিছু জানাতে পারেননি।’
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘সোমবার-মঙ্গলবার বাস চলবে কি না এই প্রশ্ন আমারও। আমি নিজেও এখনো কিছু জানি না। রবিবার সকালে এ নিয়ে বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বাস চলবে কি না।’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে একটা বার্তা আসছে। যেহেতু ১৪ তারিখ যে ঘরে থাকার ব্যবস্থাটা আসছে, সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন। এখন যে অবস্থাটা আছে এর চেয়ে তো বেশি ওপেন হওয়ার কথা নয়। এই অবস্থায় চলমান থাকার কথা। আমি এটা আমার ধারণা থেকে বলছি। কী সিদ্ধান্ত হয় সেটা কাল দেখা যাবে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, লকডাউন নিয়ে আগামীকাল একটা ভার্চুয়াল সভা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিরা যুক্ত থাকবেন।