নিজস্ব প্রতিবেদকঃকরোনা ভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি কর্মহীন মানুষদের জন্য আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে বুধবার (২০ মে ) বেলা ১১টায় নগরীর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান ইফতেখার চালু’র অফিস কার্যালয়ে এ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কেসিসি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।
খুলনা মহানগরীর ১৬ ওয়ার্ডে ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনা মহানগরীর সর্বস্থরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার খাদ্য সামগ্রী স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতায় তা গরিব দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে পৌঁছে যাচ্ছে। সঠিকভাবে এসব খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে কিনা তা খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছে।
তিন আরও বলেন, যদি কোথাও কোনও অসহায় মানুষ বাদ পড়ে যায় তাহলে আমরা পুনরায় খাদ্য দেয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রত্যেকটি স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের যার যতটুকু সামর্থ্য আছে সামর্থ অনুসারে গরিব অসহায় দুস্থ মানুষদের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছে।
বিতরণ শেষে শেখ হাসান ইফতেখার চালু বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মানবিক সহায়তার কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ কার্যকক্রম অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি তিনি সমাজের বিত্তবান, দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিও সাহায্য করার আহবান জানান। তারই অংশ হিসেবে আমরা আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা যারা একটু স্বচল, তারা দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারছি। কিন্তু যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তাদের কথা বিবেচনা করেই আমাদের আজকের এই উদ্যোগ। আমরা ঈদ করবো, আর কর্মহীন অসহায়দের সেটুকু জুটবেনা, তা হবেনা। ঈদের আনন্দকে সমানভাবে ভাগ করার প্রয়াশে আমাদের সাধ্য মোতাবেক ৫শ’ পরিবারকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হলো।
এ সময় অন্যতম অতিথি ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান ইফতেখার চালু, আনোয়ার, লিলি, শেখ মিরাজুল ইসলাম, শিপন, জিয়া, সুমন, বাবু, ইকবাল, ফিরোজ, নিজাম, রোজি ইসলাম নদী, জিহাদ প্রমুখ।
বিতরণ সামগ্রীর মধ্যে জনপ্রতি চাল ৫ কেজি, ডাল ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, তেল ১ কেজি, আলু ১ কেজি, পিয়াজ ১ কেজি, সেমাই ১/২ কেজি দিতে সক্ষম হয়েছি। যতদিন করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ কর্মহীন থাকবে আমাদের বিতরণ কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে ওয়ার্ডের সকলকেই এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।