রাজধানী ঢাকায় পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হবে ২০২২ সালের মার্চে। সবার আগে বানানো হবে ডিপো। তারপর পর্যায়ক্রমে পাতাল রেলপথ, স্টেশনসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ২০২৬ সালে পাতালরেলে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক এ তথ্য জানান।
ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ১২টি প্যাকেজের আওতায় এমআরটি-১ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম পাতাল রেলপথের নির্মাণকাজ করা হবে। প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তার ছয় মাসের মধ্যে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে ডিপো নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
এম এ এন ছিদ্দিক জানান, এই রেললাইনের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশটি পুরোপুরি পাতালপথে। ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশ নির্মাণ করা হবে। যার দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। আর কমলাপুর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে উড়ালপথ। যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার।
ঢাকায় পাতালরেলের জন্য ২৫টি ট্রেন কেনা হবে বলে জানান ডিএমটিসিএলের এমডি। তিনি বলেন, প্রতিটি ট্রেনে আটটি করে কোচ থাকবে। একেকটি ট্রেনে একসঙ্গে ৩ হাজার ৮৮ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। আর পুরো লাইনটি দিয়ে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। রেললাইনটি নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা।
২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ঢাকা ও তার আশপাশে ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তার মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার উড়ালপথে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যা লাইন-৬ নামে পরিচিত।