২০৩০ সাল নাগাদ ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভকে ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া আশা করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রত্যাশা করি সে লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
এর আগে বুধবার (৪ নভেম্বর) অনলাইনে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে।
রিজার্ভ বৃদ্ধি ও ব্যবহারে কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আগেই ঠিক করেছিলাম ৩০ ডিসেম্বরের আগে রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাবো, আমরা তার আগেই তা নিয়ে যেতে পেরেছি। এটিই জাতির জন্য পাওনা।
তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের কমিটমেন্ট আছে ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভকে ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাবো। হিসাব করেই বলছি এবং প্রত্যাশা করি, সে লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে পারবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভের মূল ভিত্তি হচ্ছে রেমিন্টেন্স, এটি ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। যে সময় ব্যাংকগুলোর চাহিদার চেয়ে বেশি রেমিন্টেন্স আসে তখন তারা বাজারে বিক্রি করে। বাজারে বিক্রি করলে কিনে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এ কারণেই রিজার্ভ বাড়ে এটি মূল কারণ। জুলাই থেকে নভেম্বর- এ ৫ মাসে ১১ বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছি। বছরের টার্গেটের ৬০ শতাংশ ৫ মাসে চলে এসেছে। এ ফ্লো অব্যাহত রাখতে পারলে রিজার্ভ ফান্ড বেড়ে যাবে। পাশাপাশি যে সব মেগাপ্রকল্প আছে সেগুলোর পেমেন্টও করতে হয়। জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ১০০ মিলিয়ন ডলারের মতো পেমেন্ট করেছি, সেটাও ফরেন এক্সচেইঞ্জ রিজার্ভ থেকে যাচ্ছে। সবকিছু যাওয়ার পরও ৪২ বিলিয়ন ডলার নেট হাতে আছে। প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, আমি মনে করি এজন্য বাইরে ইনভেস্ট করলে এক থেকে ২ শতাংশের বেশি আমরা পাই না।
‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে পারি এবং সেগুলো ডলারে রিসিভ করতে পারি তাহলে ফান্ড ফ্লো ইনটেক থাকলো এবং আমাদের ইনকামটাও অনেক বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন এবং স্টাডি করছেন আমাদের আগামীতে কী পরিমাণ ফান্ড প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে মেগাপ্রকল্পে পেমেন্ট করার জন্য। সে সব বিষয় বিচার বিবেচনা করে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী বাজেটের আগেই হয়তো তিনি চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। যেহেতু তিনি বলেছেন, তাই মনোযোগ দিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। ‘