অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ ঋণ প্রক্রিয়াধীন আছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। এ সময় তাদের মধ্যে চলতি অর্থবছরে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উত্তরণে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য এডিবির প্রশংসা করেন অর্থমন্ত্রী।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং আগামী ২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এডিবির বোর্ডের ৫৫তম বার্ষিক সভায় অংশ নেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে আগাম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও এডিবির সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের বিষয়েও আলোচনা করেন তারা। বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর।
এডিমন গিন্টিং বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির দৃঢ় সম্পর্ক আছে। এডিবি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এ দেশের গ্রামীণ ও নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা অব্যাহত এবং জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন বিনিয়োগকে উৎসাহ দেবে এডিবি।
করোনা মহামারিকালে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ অন্যতম সেরা উদাহরণ স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী এডিবি এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ২৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা দিয়েছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী। বিশেষ করে, এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবিকে আরও উন্নয়ন সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি প্রধানত বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পরিবহন, জ্বালানি, পানিসম্পদ, কৃষি, স্থানীয় সরকার, সুশাসন, আর্থিক ও বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেয়।