শেখ মাহতাব হোসেন :: খুলনার ডুমুরিয়া কলেজ থেকে ফরম ফিলাপের জন্য ২০৪০ টাকার ম্যাসেজ দেওয়া হয়। কিন্তু হিসাব শাখায় কর্মরত আজগর আলী, ছাত্র ইমরান খানকে বলেছে, ২১’শ টাকা দিতে না পারলে কলেজ থেকে বের হয়ে যাও’।
উপজেলা সদরে অবস্থিত ডুমুরিয়া কলেজে চলমান এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ, মার্কশীট প্রদান-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দূর্ণীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সরেজমিনে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরম পূরণের জন্য ডুমুরিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ড নির্ধারিত ফি’র সঙ্গে এক মাসও না পড়িয়ে ১১ মাসের কলেজ বেতন নিচ্ছে। তার সঙ্গে সেশন চার্জের নামে আরও ২’শ টাকা বেশি নিচ্ছে। এছাড়া বিগত বছর ফরম পূরণ করে অটোপাশ শিক্ষার্থীদের বোর্ড কর্তৃপক্ষ যে টাকা ফেরৎ দেওয়ার ম্যাসেজ পাঠায়, সেই টাকা থেকেও ৫০ টাকা হারে কেঁটে রাখা হয়েছে। তার পাশাপাশি ওই টাকা ফেরৎ দেওয়ার সময় গত বছরের মার্কশীট ও টেস্টমনিয়াল দেওয়ার নামে ১’শ থেকে ২’শ করে টাকা কেটে নিয়েছে। আর দীর্ঘদিন ধরে শুন্যপদে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি নানা অজুহাতে ঝুলিয়ে রাখাও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব বিষয়ের সত্যতা সম্পর্কে জানতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ডুমুরিয়া কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রঞ্জন তরফদারের সঙ্গে তার অফিস কক্ষে ডুমুরিয়ায় কর্তরত বেশ-কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা হয়। ওই সময় বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী ইমরান খানের পিতা ইসমাইল হোসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন, কলেজ থেকে আমার ছেলেকে ফরম ফিলাপের জন্য ২০৪০ টাকার ম্যাসেজ পাঠানো হয়। আমি মহামারির এই সময় অনেক কষ্ট করে ছেলের কাছে সেই টাকাই পাঠাই। কিন্তু আপনার কলেজের হিসাক শাখায় কর্মরত ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি আজগর আলী বলেছে, ২১’শ টাকা লাগবে। আমার ছেলে আর টাকা নেই বললে, আজগর বলে, তুমি কলেজ থেকে বের হয়ে যাও।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে আজগর আলী বলেন, আমি কোনো ছাত্রকে বের হয়ে যেতে বলিনি। শুধু অন লাইনের খরচ দিতে বলেছি।
ডুমুরিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রঞ্জন তরফদার সকলের সামনে বলেন, অন-লাইনের একটা খরচ আছে তো। কলেজে কম্পিউটার অপারেটর নেই বলে, আজগরের ভাগে মেহেদী অন-লাইন করাচ্ছে। আর সেশন চার্জ বাবদ ২’শ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে মার্কশীট বা টেস্টমনিয়াল বাবদ যে টাকা নেওয়া হয় তা তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিদের কল্যাণে ব্যায় করা হয়। ইচ্ছাকৃত অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডুমুরিয়া কলেজ কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন সরকারি নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।