গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭ জন। গতকাল এই সংখ্যা ছিল তিনমাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, ৪০।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে মৃত্যু ৩০ এর নিচে নামে। কোনও কোনও সপ্তাহে সেটি ২০ এর নিচেও ছিল। কিন্তু সংক্রমণের ৩৮তম সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর থেকে দৈনিক মৃত্যুর হার বাড়তে থাকে।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তার আগের ২৪ ঘন্টার হিসাব পর্যালোচনা করে জানানো হয়েছে, এই দিনে দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৫৬ জনে।
বুধবার শনাক্তের সংখ্যা ২৪৫ জন কমে দাঁড়িয়েছে ১,৬৩২ এ। গতকাল ছিল ১,৮৭৭। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ২৫ জনের। আর দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৩০ লাখ ২২ হাজার ৫৩৭ জনের। নমুনা পরীক্ষা গতদিনের তুলনায় কমেছে।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ২৭ জনেরই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। তাদের মধ্যে ১৯ জনই রাজধানীর বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রামে ৫ জন, রংপুরে ২ এবং ১ জন মারা গেছেন রাজশাহীতে
ঢাকা: ১৯
চট্টগ্রাম: ৫
রংপুর: ২
রাজশাহী: ১
মারা যাওয়া ২৭ জনের মধ্যে ১৮ জনের বয়স ষাটের ওপর। ৫১-৬০ বছর বয়সী ৬ জন, ৪১-৫০ এর মধ্যে ২ জনের বয়স। এছাড়া মৃত ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ এর মধ্যে।
গেলো ২৪ ঘণ্টায়ও নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি।
পুরুষ: ২৩ (৭৬.৩৩%)
নারী: ৪ (২৩.৬৭%)
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,৬২২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৫১ জন।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, করোনার কার্যকর ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত প্রত্যেকের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। জীবন ও জীবিকার পাশাপাশি সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকে। জুনে তা তীব্র আকার ধারণ করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ কমার পর নভেম্বরের শুরু থেকে তা আবার ঊর্ধ্বমুখী। তবে দেশে এখনো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়নি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।