হাসপাতালগুলোর ফটকে, আঙিনায়, করিডরে, বারান্দায় রোগীর স্বজনেরা উৎকণ্ঠা নিয়ে ছোটাছুটি করেন। একটু পরপর রোগী আসেন, নিয়মিত বিরতিতে মানুষের লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে বাঁচাতে চিকিৎসক–নার্সদের চেষ্টা চলে আপ্রাণ। আবার কোথাও কোথাও অবহেলার অভিযোগও আছে। করোনায় জেরবার বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র এটি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, শুক্রবার (৯ জুলাই) সপ্তাহের শেষ দিন, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আগের রেকর্ড টপকে গেছে। শুক্রবার মারা গেছেন ২১২ জন, যা দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে সর্বোচ্চ।
এছাড়া এদিন মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ হাজার পেরিয়েছে। এবং শনাক্তের সংখ্যা পা রেখেছে ১০ লাখের ঘরে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মৃত্যুর এই সংখ্যা ছিল ১৯৯, বুধবার ২০১, মঙ্গলবার ১৬৩, সোমবার ১৬৪। আগেরদিন রবিবার ১৫৩। এছাড়া শনিবার মৃতের এই সংখ্যা ছিল ১৩৪। সর্বোচ্চ মৃত্যু আজ খুলনায়।
আর অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৩৬ হাজার ৫৮৬ জনের পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ১১ হাজার ৩২৪ জন।
শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গতকাল, বৃহস্পতিবার শনাক্তের এই সংখ্যা ছিল ৩১.৬২, বুধবার ৩১.৩২। মঙ্গলবার ৩১.৪৬, সোমবার ২৯.৩০, রবিবার ২৮.৯৯, শনিবার ২৭.৩৯।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মারা গেছেন মোট ১৬ হাজার ৪ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৫৪৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু : ২১২
মোট মৃত্যু: ১৬ হাজার ৪
শনাক্ত : ১১ হাজার ৩২৪
মোট শনাক্ত: ১০ লাখ ৫৪৩
নমুনা পরীক্ষা (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ): ৩৬ হাজার ৫৮৬
শনাক্তের হার: ৩০.৯৫ শতাংশ
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, সরকারি হাসপাতালে ১৬০ জন এবং ৩৬ জন মারা গেছেন বেসরকারি হাসপাতালে। এছাড়া ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।
মৃতদের মধ্যে ৫৩ জন ঢাকার, ২৬ জন চট্টগ্রামের, ২৩ জন রাজশাহীর। ৭৯ জন খুলনায়, ৬ জন সিলেটের, ৫ জন বরিশালের, রংপুরের ১২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ৮ জন।
ঢাকা: ৫৩
চট্টগ্রাম: ২৬
রাজশাহী: ২৩
খুলনা: ৭৯
রংপুর: ১২
বরিশাল: ৫
সিলেট: ৬
ময়মনসিংহ: ৮
গেলো ২৪ ঘণ্টাতেও পুরষের মৃত্যুর হার বেশি।
পুরুষ: ১১৯
নারী: ৯৩
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে ৯০ জন ষাটোর্ধ্ব, ৫৬ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, আরও ৪০ জনের বয়স ৪১-৫০ এর মধ্যে এবং ১৭ জনের বয়স ৩১-৪০ এর মধ্যে। এছাড়া ২১-৩০ জনের মধ্যে ৭ জনের বয়স এবং ২ জনের বয়স ১১-২০ এর মধ্যে।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন।