চলমান সর্বাত্মক বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষের পর শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) বরিশাল সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান সর্বাত্মক বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাতে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এর মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন আর বাড়ানো হবে না এর ময়সীমা।
মন্ত্রী জানান কাদের বলেন, ‘চলমান লকডাউনের পরে জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।’ লকডাউন শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এদিকে, গতকালই ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চালু করার দাবি জানিয়েছেন পরিবহনমালিকেরা। তারা বলছেন, রাজধানীসহ দূরপাল্লার পথেও বাস চালু করতে চান তারা। এ ক্ষেত্রে সীমিত আকারে, অর্থাৎ অর্ধেক আসন ফাকা রেখে চালানো যেতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও তারা তৎপর থাকবেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সারা দেশে ৫ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন বন্ধ করা হয়। সেদিন মন্ত্রী বলেছিলেন, পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি-ওষুধ-পচনশীল-ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টসসামগ্রী এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
এরপর ৭ এপ্রিল থেকে অফিসমুখী মানুষের কষ্ট লাঘবে খুলে দেয়া হয় গণপরিবহন। সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলা শুরু হয়। আর তাতে স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসে রাজধানী ঢাকা।
পরের ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক ও কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় আবারও গণপরিবহন বন্ধ করে সরকার। সেইসঙ্গে বন্ধে আছে আন্তঃজেলা বাস চলাচলও। এদিকে ২৫ এপ্রিল থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং ২৮ তারিখের পর বিধিনিষেধের মেয়াদ আর না বাড়ানোর ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চালু করার দাবি জানান পরিবহনমালিকেরা।