করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। যা প্রথম শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এই ভ্যারিয়েন্টকে বিশেষজ্ঞরা ডেল্টার চেয়ে ভয়াবহ বলছে। ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। এদিকে ভারতে শনাক্ত আগের ডেল্টার ভয়াবহতাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ওমিক্রন।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র দু’দিন আগেই ওমিক্রনের সংক্রমণ তালিকায় ছিল ১২টি দেশের নাম। শুক্রবার প্রকাশিত আরেকটি নতুন তালিকায় সেই ১২টি থেকে দেশের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩০টিতে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের জন্যও শঙ্ক বাড়াচ্ছে ওমিক্রন। কারণ ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী দেশ ভারতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপের অধিকাংশ দেশে ঢুকে পড়েছে করোনার বিপজ্জনক নতুন ভ্যারিয়েন্টটি।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) জানিয়েছে, ওমিক্রন যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, শিগগিরই ডেল্টাকে সরিয়ে এটিই বিশ্বে ‘ডমিন্যান্ট’ বা মূল সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠবে।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) রিপোর্ট করেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, এর বহু আগেই বিভিন্ন দেশে ছড়াতে শুরু করেছিল ভ্যারিয়েন্টটি।
ইসিডিসি দাবি করেছে, আফ্রিকা মহাদেশের বতসোয়ানায় প্রথম ওমিক্রন চিহ্নিত হয়েছিল ১১ নভেম্বর।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি প্রথম কবে তাদের দেশে ভ্যারিয়েন্টটি ধরা পড়ে। নভেম্বরের শুরু থেকে তারা রোগীদের মধ্যে ভিন্ন উপসর্গ লক্ষ্য করে। করোনা পরীক্ষাতেও ভাইরাসের এস-জিনের অনুপস্থিতি চোখে পড়ে সে দেশের বিজ্ঞানীদের। এর পরে অনুসন্ধান চালিয়ে পাওয়া যায় নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
এখনো ভ্যারিয়েন্টটির সংক্রমণ ও মারণ ক্ষমতা অজানা। তবে ভাইরাসটির ম্যাথামেটিকাল মডেলিং দেখে ইসিডিসি’র বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গোটা ইউরোপের অর্ধেক করোনা সংক্রমণের জন্যই দায়ী হবে ওমিক্রন।
ইসিডিসি’র ডিরেক্টর অ্যান্ড্রিয়া অ্যামন বলেন, এখনো অনেক কিছু অজানা। ফলে পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে বদলে যেতে পারে। সংক্রমণের গতি যতটুকু কমানো সম্ভব, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। টিকাদানের গতি বাড়ানো হচ্ছে। বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও চালু রাখা হচ্ছে।