এবার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ দেওয়ার সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন শেয়ারহোল্ডাদের ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাসসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)।
সোমবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে জানানো হয়েছে, ‘সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে। অনতিবিলম্বে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।’
দেশে বর্তমানে ৩৪টি এনবিএফআই রয়েছে। এর মধ্যে পিপলস লিজিং অবসায়নের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একজন অবসায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অবসায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এনবিএফআইগুলোর মধ্যে ২৩টি দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এ তালিকায় পিপলস লিজিংও রয়েছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই মাসের শেষ সপ্তাহে এনবিএফআই (নন-ব্যাংক) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার তীব্র প্রভাব পড়ে দেশের শেয়ারবাজারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। সব মিলিয়ে বাজার অস্থির হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে নতুন উদ্যোগ নিতে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বৈঠক করে। সেখানেই লভ্যাংশের সীমা বাড়ানো বিষয়ে বিএসইসি প্রস্তাব তুললে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাতে সায় দেয়। এরপর ১৬ মার্চ ব্যাংকগুলো লভ্যাংশ দেওয়ার সীমা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। নগদ ও বোনাস মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। আগে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দেওয়ার অনুমোদন ছিল।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ লভ্যাংশ দেওয়ার সীমা বাড়িয়ে সার্কুলার জারি করল।