করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের নিবন্ধনের জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সুরক্ষা অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে দেওয়া হবে। রোববার রাজধানীর মহাখালীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সোমবারের মধ্যে দেশের সব জায়গায় করোনাভাইরাসের টিকা পৌঁছে যাবে। আইসিটি মন্ত্রণালয় আমাদের বলেছে, ৪ তারিখের মধ্যে ওই অ্যাপ মোবাইলে পাওয়া যাবে। এর মধ্যে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ দেওয়া হবে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, টিকা বিতরণের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজকালের মধ্যে দেশের সব জায়গায় টিকা পৌঁছে দিতে পারবে। আর দেরি হবে না এটুকুই বলতে পারি। ইতিমধ্যে টিকাকেন্দ্রগুলোতে বুথ তৈরি করা হয়েছে। ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণও শেষ পর্যায়ে। সকল জেলা-উপজেলার ফোকাল পার্সনদের সঙ্গে কাল (সোমবার) আমাদের একটা মিটিং আছে। তাদের কাছ থেকে আমরা একটা ফিডব্যাক নেব যে তারা কী কী সমস্যা ফিল করছেন। যে সমস্যাগুলো আমরা ঠিক করব।
গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (www.surokkha.gov.bd) সীমিত আকারে উন্মুক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা উপজেলায় ইন্টারনেট কানেকশনসহ ল্যাপটপসহ দেওয়া আছে। আমরা একটা চিন্তা করেছি, যারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে না, স্থানীয় আইসিটির লোক আছে, তাদের সহায়তায় নিবন্ধন করে দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার আগে এলাকায় ঘোষণা দিয়ে দেওয়া হবে যার যখন সুবিধামতো রেজিস্ট্রেশন করে যান। যদি ১০০ জনের রেজিস্ট্রেশন হয়ে যায় তাহলে পরপরই আমরা একটা ডেট দিয়ে দিব। ওই ১০০ জন ওইদিন এসে টিকা নিবে। রেজিস্ট্রেশন হবে অনলাইনেই, আমাদের লোকজন হেল্প করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, মোবাইল অ্যাপ চালু হলেও তার মাধ্যমেও নিবন্ধনের কাজটি করা যাবে। টিকা নিতে আগ্রহী সবাইকেই নিবন্ধনের কাজটি করতে হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে শুরু হবে গণ টিকাদান। যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে তাদের সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় আইসিটি কার্যালের কর্মীদের সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।