আন্তর্জাতিক ডেস্কঃদীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা একটি ফরাসি সাবমেরিনের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে এক অনুসন্ধানী দল জানিয়েছে। ১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলের তুলোন বন্দরের নিকট ৫২ জন নাবিক নিয়ে গায়েব হয়ে গিয়েছিল ফরাসী সাবমেরিন মিনেরভা।
ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি সোমবার (২২ জুলাই) সাবমেরিনের সন্ধান পাওয়ার ঘোষণাটি টুইট করে এই আবিস্কারকে ‘মুক্তি ও কারিগরি কৃতিত্ব’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। দীর্ঘ ৫০ বছরে সাবমেরিনটি খুঁজে পাওয়ার আগের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।
সাবমেরিনের সঙ্গে হারানো প্রিয়জনদের খুঁজে বের করার জন্য শোকার্ত পরিবারের অনুরোধের ফলেই এই বছরের শুরুতে নতুন করে পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে মিসেস পার্লি ঘোষণা করেছেন।
পার্লি টুইটে বলেন, ‘মাত্রই আমরা মিনেরভাকে খুঁজে পেয়েছি। এটি এমন এক সাফল্য, যাকে আমরা মুক্তি ও প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব হিসেবেই দেখছি। এমন এক মুহূর্তের জন্য দীর্ঘকাল ধরে অপেক্ষা করা পরিবারগুলোর কথা চিন্তা করছি।’
ফরাসী বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ধ্বংসাবশেষটি খুঁজে পেতে সহায়তা করার জন্য নতুন অনুসন্ধান সংস্থা নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে দুর্ঘটনার অনেক ঘটনা, এমনকি স্রোতের গতিবিধি সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফরাসী নৌকর্মকর্তা জানান, মার্কিন বেসরকারি কোম্পানি ওশান ডিসকভারির একটা নৌকার সাহায্যে চূড়ান্ত সন্ধান মেলে।
এএফপি জানায়, নিখোঁজ সাবমেরিনটি তুলোন বন্দরের ৪৫ কিলোমিটার দূরে ২ মহাজার ৩৭০ মিটার গভীর পৃষ্ঠে পাওয়া যায়। মিনেরভা ঢুবে যাওয়া দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সঠিক কারণ কখনই প্রকাশ হয়নি।
১৯৬০-এর দশকে সারা বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া সামরিক সাবমেরিনগুলির মারাত্মক বিপর্যয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল ফরাসী এই সাবমেরিনটি।
ফকির শহিদুল ইসলাম
সম্পাদনায়