করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার বুস্টার ডোজের বয়সসীমা কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এখন থেকে ৫০ বছর বয়সীরাও বুস্টার ডোজ পাবেন।
আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা জানেন আমাদের টিকা কর্মসূচি চলমান আছে, আমরা বুস্টার ডোজ দিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ খুববেশি অগ্রগতি লাভ করেনি। এ পর্যন্ত আমরা সাত লাখের মতো মানুষকে টিকার বুস্টার ডোজ দিতে পেরেছি। এখন যদি বয়সসীমা কমিয়ে ৫০ বছর বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেই, তা হলে প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে এই বুস্টার ডোজ দিতে হবে। এতে আমাদের জন্য কোনো অসুবিধা নেই।
তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এক কোটি সাত লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়েছি। এখনও প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। আমাদের টিকার কোনো ঘাটতি হবে না।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছিলেন, বুস্টার ডোজের জন্য বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে কমানোর কথা ভাবছেন তারা। এমনকি ভবিষ্যতে টিকাগ্রহীতারা সুবিধাজনক যেকোনো কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
তিনি জানান, এসএমএস না পেলেও যেকোনো বয়সের রোগীরা করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে, বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগে ওই রোগীকে তার অসুস্থতা বিষয়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যগত নথি দেখাতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূরসহ আরও অনেকে।