মাগুরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে মাগুরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র ্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাব চত্বর থেকে সাংবাদিকদের একটি র্্যালি শহরের চৌরঙ্গীর মোড় হয়ে সোনালী ব্যাংক প্রদক্ষিণ শেষে পরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মাগুরা মুক্ত হওয়ার ঘটনার ইতিহাস তুলে ধরেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক ওয়ালিয়র রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জালন করা হবে।
১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালিন মাগুরা মহাকুমায় ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
মাগুরাকে শত্রু মুক্ত করতে শ্রীপুরের আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী, মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী, মহম্মদপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী কমল বাহিনীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাহসী ভূমিকা নিয়ে পাক সেনা ও স্থানীয় রাজাকার আল বদর বাহিনীর সাথে প্রাণপণ যুদ্ধ করে। গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমনের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানী ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। একই সাথে মুক্তিবাহিনীর ভয়ে পাকিস্তানী সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
৭ ডিসেম্বর মাগুরা শত্রুমুক্তির আনন্দে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মুক্তিযুদ্ধে ৭ ডিসেম্বর মাগুরা নোমানী ময়দানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিকভাবে মাগুরাকে পাকহানাদার মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়।