ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জাটকা রক্ষা অভিযান। চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এ সময় ১০ ইঞ্চির ছোট সকল জাটকা ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, বিনিময়, ও মজুত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
জাটকা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে চালানো হবে সমন্বিত অভিযান। জেলেরা জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর আবারও ৮ মাসের জাটকা সংরক্ষণ অভিযান তাদের ধারদেনার পরিমাণ বাড়বে।
জেলেরা জানান, সরকার যদি ইলিশের জাটকা সংরক্ষণ করে, তাহলে আমরা জেলেরা লাভবান হব। অন্য এক জেলে বলেন, ২২ দিন বন্ধ রাখার জাটকা যদি বড় হতে না পারে, তাহলে বন্ধ সরকারের এ উদ্যোগ সফল হবে না।
এদিকে জাটকা রক্ষার মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নদীকে অবৈধ জাল মুক্ত করার দাবি জেলে সমিতির নেতারও।
ভোলা সদর উপজেলার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি সভাপতি মো. এরশাদ ফরাজি জানান, ২২ দিনের অভিযান মেনেছে জেলেরা। এখন সরকারের কাছে দাবি, অবৈধ জাল যাতে উচ্ছেদ করা হয় এবং জেলেরা যাতে মাছ ধরতে পারে।
আর আইন মেনে চলার জন্য সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালেন ভোলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলাম।
জাটকা সংরক্ষণের আওতায় জেলায় নিবন্ধিত এক লাখ ৪৭ হাজার জেলেকে পর্যায়ক্রমে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা হবে। আর চলতি বছর জেলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন।