অনলাইন ডেস্কঃ শিগগিরই ২০১৯-২০ অর্থ-বছরের জন্য সম্ভাব্য ৮৬৫ কোটি ৫৪ লাখ ৩ হাজার টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৬৩৭ কোটি ৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। পরে তা সংশোধিত আকারে দাঁড়িয়েছে ২৯৮ কোটি ৮৩ কোটি ১৪ হাজার টাকা। তবে পূর্বের অর্থ-বছরের তুলনায় এবার বাজেটের আকার বাড়ছে। কেসিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। বাজেট হবে সুষম ও উন্নয়নমুখী। এর সুদূর প্রসারী তাৎপর্য রয়েছে।
কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নানা পরিকল্পনা নিয়ে কর্পোরেশনে ২০১৯-২০ অর্থ-বছরের বাজেট প্রস্তুতির কাজ চলছে। খুব শিগগিরই এ বাজেট ঘোষণা করা হবে। এবারে কেসিসি’র সম্ভাব্য প্রস্তাবিত বাজেট ধরা হয়েছে ৮৬৫ কোটি ৫৪ লাখ ৩ হাজার টাকা। আজ সংস্থাটির সাধারণ সভায় ওই বাজেট প্রস্তাব উঠানো হবে। নিম্নে এ বাজেটের আয়-ব্যয়ের খাত তুলে ধরা হলো।
আয়ের খাত : বাজেটের রাজস্ব খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ১৬৯ কোটি ৮২ লাখ ২৬ হাজার টাকা। উন্নয়ন তহবিল থেকে আয় ধরা হয়েছে ৬০৯ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি অনুদান (২য় অংশ) অর্থাৎ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)’র বিশেষ থোক ও জাতীয় এডিপিভুক্ত/প্রস্তাবিত প্রকল্পে ৪৭৪ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। বিশেষ প্রকল্প (৩য় অংশ) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, বাংলাদেশ মিউনিসিপাল ডেভলপমেন্ট অর্থায়ন ফান্ড প্রকল্প, নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প-২, নিরাপদ পথ খাবার উন্নয়ন কর্মসূচি, আরবান পাবলিক এন্ড এনভারমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভলপমেন্ট প্রকল্প, সিটি ওয়ার্ড ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন এনভারমেন্ট ইন খুলনা, আরবান ম্যানেজমেন্ট অব মাইগ্রেশন ডিউ টু ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ ইন খুলনা সিটি কর্পোরেশন, সোলার স্ট্রীট লাইট প্রকল্প ও খালিশপুর কলেজিয়েট স্কুল নির্মাণ প্রকল্প, এনগেজিং মাল্টি সেক্টরাল পাটনার্স ফর ক্রিয়েটিং অপরচুনিটিজ ইমপ্র“ভিং ওয়েলবিয়িং এন্ড রিলিজিং রাইটস অব দি আরবান পুওর প্রজেক্ট, শিশু রিচপনসীভ কার্যক্রম শহরের ভিতরে টেকসই উন্নয়ন, লাইভস্টক ডেভলপমেন্ট বেজ ডেইরি রেভুলেশন এন্ড মিট প্রোডাকশন প্রকল্প থেকে ১৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা আয় ধরা হয়েছে। এছাড়া প্রারম্ভিক স্থিতি রয়েছে ৮৬ কোটি ৫১ লাখ ৫ হাজার টাকা।
ব্যয়ের খাত : সংস্থাপনসহ রাজস্ব তহবিলে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৯ কোটি ৮২ লাখ ২৬ হাজার টাকা। উন্নয়ন তহবিল সরকারী অনুদান (২য় অংশ) অর্থ্যাৎ নগরীর বিভিন্ন রাস্তা, ড্রেন ও অবকাঠামোগত সুবিধাধীন উন্নয়ন প্রকল্প ও বিশেষ প্রকল্প (৩য় অংশ) ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৫ কোটি ৭১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
কর্পোরেশনের অর্থ ও সংস্থাপন কমিটির সভাপতি শেখ মোঃ গাউসুল আযম সময়ের খবরকে বলেন, এবার জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। বাজেট হবে সুষম ও উন্নয়নমুখী। এর সুদূর প্রসারী তাৎপর্য রয়েছে। নাগরিক সেবা বৃদ্ধি ও সেবার মান উন্নত করার পরিকল্পনা এবং আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখেই এ বাজেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাই নতুন বাজেট শতকরা ৮০ ভাগ বাস্তবায়ন হবে বলে তার প্রত্যাশা। সূত্র- সময়ের খবর