খুলনা অফিসঃখুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নে চলমান বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলে পানি বন্ধি হয়ে পড়ে ২৫ পরিবার। সরকার কর্তৃক অধিগ্রহনের আওতায় না পড়ার কারনে অসহায় ভাবে দিন যাপন করছে এই ২৫টি পরিবার। খুলনা জেলা প্রশাসক কর্তৃক ভুমি অধিগ্রহনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। সরজমিনে দেখাযায়, ভাঙ্গন কবলিত বানিশান্তা ইউনিয়নের আমতলা হতে বানিশান্তা বাজার পর্যন্ত নতুন রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহন করে রাস্তা সম্পন্ন করে। নতুন রাস্তা সম্পন্ন করার কারনে পূর্বের রাস্তা মেরামতের কোন উদ্দ্যেগ না নেওয়ার ফলে নদীর পানির শ্রতে রাস্তা ভেঙ্গে পানি বন্ধি হয়ে ২৫ পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। পানি বন্ধি রুবি বেগম, রিনা বেগম, হাসিনা বেগম, নাজমুল খান, মজিদ হাওলাদার, সিদ্দিক হাওলাদার, বাবুল মোল্লা, মজিবর মিস্ত্রি, হোসেন হাওলাদার, দুলাল হাওলাদার, লিটন হাওলাদার, কাসেম খা, শফিকুল হাওলাদার, সবুরন নেছা, কুমত বিশ্বাস, হানিফ শেখ, কুদ্দুস ফকির, নিমাই বিশ্বাস, রাবিয়া বেগম, রুমানা বেগম, হাসি বেগম, সালমা বেগম, রিনা বেগম, অধির বিশ্বাস, রাধা বিশ্বাস,চিত্ত বিশ্বাস, বরুন বিশ্বাস, মন্ডল বিশ্বাস, জামেলা বেগম, করিম হাওলাদার, ওজুফা বেগম, মিলন মৃধা, দানেল বিশ্বাস, কুমার বিশ্বাস, দনেনি বিশ্বাস, নাজমা বেগম, নাজমুল খা, স্বপন বিশ্বাস, বিজয় বিশ্বাস, সুকুমার বিশ্বাস, দুলাল বিশ্বাস, সোহেল বিশ্বাস, রাধা বিশ্বাস সহ অসংখ্য অসহায় মানুষ অভিযোগ করে বলেন, জন্ম থেকে পওর এর রাস্তার পাশে বসবাস করে আসছি। প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করে বেচেঁ থাকতে হয় আমাদের। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহনের সময় আমাদের ঘড়বাড়ির ক্ষতিপুরনের প্রতিশ্রিতি দেয়া হয়েছে অথচ আমরা প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি । কিন্ত আমাদের প্রত্যেককে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে বলা হয়েছে । আমরা দেনা করে ব্যাংক একাউন্ট হিসাব খুলি। কিছুদিন আগে জানতে পারি সরকার কর্তৃক অধিগ্রহনে ঘড়বাড়ির ক্ষতিপুরনের তালিকায় আমাদের নাম নেই। এখন আমরা কোথায় যাব, কি করে ছেলে-মেয়েদের মানুষ করব। কান্না জড়িত কন্ঠে অনেকেই বলেন, যাদের ঘড়বাড়ির তেমন কোন ক্ষতি হয়নি তারা অধিগ্রহনের আওতায় ক্ষতিপুরন পেয়েছে কিন্ত আমারা সব-হারিয়ে অধিগ্রহনের আওতায় পরলাম না কেন? আমরা ভুমিহীন একটু মাথা গোজার ঠাই পেতে খুলনা জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ঠদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।