চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবিশ্বখ্যাত নয়নাভিরাম ও জীব বৈচিত্র্যে ভরা সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প বিকাশের অপরা সম্ভাবনা রয়েছে খুলনা অঞ্চলে। কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের গোলখালীতে সুন্দরবন ভিত্তিক পর্যটন গড়ে তুলতে জাতীয় সংসদে একাধিক বক্তৃতায় বলেছেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু। নগরীর মুজগুন্নীতে পর্যটন কর্পোরেশনের কার্যালয় নির্মাণ কাজ চলছে। এদিকে, ‘ভবিষ্যতের উন্নয়নে কাজের সুযোগ পর্যটনে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন আলোচনা সভা এবং বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করেছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় শহীদ হাদিস পার্ক থেকে কালেক্টরেট চত্বর পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি বের হবে। পরে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্রমতে, ২০১৫ সালের ১৯ মে তৎকালীন বেসাময়িক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী দ্রুততম সময়ে ট্রেনিং সেন্টার, মোটেলসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার খুলনায় পর্যটন কর্পোরেশনের কার্যালয় স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সে আশ্বাসের প্রতিফলন হয়নি এখনো। খুলনার মুজগুন্নী এলাকায় খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটন কর্পোরেশনকে জমি হস্তান্তরকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেছিলেন। সেদিন পর্যটনমন্ত্রী আরো বলেছিলেন, খুলনা অঞ্চলে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এটিকে কাজে লাগাতে হবে।
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, সুন্দরবন ঘেঁষা আমার নির্বাচনী এলাকা কয়রার গোলখালী গ্রামে পর্যটন কেন্দ্র তৈরির সম্ভাবনা তুলে ধরে জাতীয় সংসদে একাধিকবার বক্তব্যে বলেছি। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সাথে সাথে সৌন্দর্য্য পিপাসুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের বিশুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন (বিপিসি) সূত্রমতে, ১৯৭০ সালে খুলনায় পর্যটন মোটেল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। খুলনা-যশোর মহাসড়কের মুজগুন্নীতে তখন মোটেল তৈরির জন্য দখল করা হয়েছিল ৪ দশমিক ৮৪ একর জমি। কিন্তু পরবর্তীতে তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। খুলনা পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এখানে আন্তর্জাতিকমানের পাঁচ তারকা মোটেল ও ট্রেনিং সেন্টারসহ পর্যটন কমপ্লেক্স নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।