অনলাইন ডেস্কঃপুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিচারবিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি আমরা তার বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তও করছি। তিনি দোষী প্রমাণিত হলে ছাড় পাবেন না। অপরাধ করে আগেও কেউ রেহাই পায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার অপরাধ প্রবণতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখনই আমরা কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, আমরা দেরি না করে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেলের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আপনারা নিশ্চিত থাকেন, আগেও অপরাধ করে কেউ রেহাই পায়নি, এবারও পাবে না। তিনি যত বড় কর্মকর্তাই হোন না কেন?
দেশে এখন কোনো অপরাধই গোপন থাকছে না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপরাধগুলোর সচিত্র সংবাদ চলে আসছে। এখন চর কুকরি-মুকরি থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সর্বত্রই ইন্টারনেট যোগাযোগ রয়েছে। এতে লেখাপড়া জানা মানুষ ইন্টারনেটে সবকিছু শেয়ার করতে পারছেন। এটি অবশ্যই আমাদের সরকারের সাফল্য। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সূচনা করেন। এর সুফল এখন আমরা পাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, নিরীহ একাধিক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে তাদের জমিজমা ও গাড়ি-বাড়ি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গত ১৪ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে একটি মামলাটি করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে বৃদ্ধ জাহের আলীকে রিমান্ডে নিয়ে তার একমাত্র অবলম্বন জমিটিও কমিশন বসিয়ে লিখে নেন অতিরিক্ত এ ডিআইজি। বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সংবাদগুলো আমাদের নজরে এসেছে। তার বিরুদ্ধে আমরা আরো অভিযোগ পেয়েছি।