আন্তর্জাতিক ডেস্কঃকেন চীনের মুসলিমদের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছে না পাকিস্তান এমন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দাবি, পাকিস্তান শুধু কাশ্মীর নিয়ে কথা বলছে, কিন্তু নির্যাতিত উইঘুরদের নিয়ে জাতিসংঘে কোনো কথা বলেনি।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস বলেন, দিল্লি জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারার সুযোগসুবিধা প্রত্যাহার করার পর সেখানকার মুসলিমদের জন্য বড়ই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। অথচ, উইঘুরি সম্প্রদায় ও তুর্কিভাষী দশ লাখ মুসলিম আটক রয়েছেন চীনে। তা নিয়ে তো ইসলামাবাদকে কিছু বলতে শোনা যায় না। দেখতে চাই, পশ্চিম চীনে আটক থাকা ওই মুসলিমদের নিয়েও প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করবে ইসলামাবাদ। প্রশ্ন তুলবে।
কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও চীনে আটক লাখ লাখ উইঘুরি ও তুর্কিভাষী মুসলিমদের নিয়ে আলোচনা চলেছে, সে কথা জানিয়ে অ্যালিসের প্রশ্ন, সেখানে কেন পাকিস্তান একটি কথাও বলল না?
মার্কিন কূটনীতিকের এমন কথা একেবারেই আচমকা, তা কিন্তু নয়। গত সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের আগে মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংগঠন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে উইঘুরিদের প্রসঙ্গে মতামত জানতে চেয়েছিল।
এ নিয়ে ইমরান খান বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আমরা শুধুই নিজের মধ্যে কথা বলব। আর কারো সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব না। চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক বহু দিনের।