চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান মহানগর যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান লিংকনের নামে এবার খোদ জেলা পরিষদের জমি- জায়গা দখল করার প্রমান পাওয়া গেছে। খুলনা জেলা পরিষদের উর্ধতন মহল বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন তাদের তদন্ত রিপোর্টে বিষয়টি প্রমানিত এবং জরুরী ব্যবস্থার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে ।
খুলনা জেলা পরিষদের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ফুলতলা উপজেলায় ডাকবাংলা সংলগ্ন এলাকায় জেলা পরিষদের মৌজা দক্ষিণ ডিহি জেএলনং ০৪, দাগ নং সাবেক ১২৩৬ হাল ১৮৮৩ প্রায় দেড় একর জামি রয়েছে। ডাক বাংলাটি ব্যবহার অযোগ্য হাওয়াই পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই জমি ইতি পূর্বৈ ফুলতলার জনৈক নাসরিন সুলতানা অর্থর বিনিময় লীজ গ্রহন করেছিল । কিন্তু তিনি লীজ চুক্তি ভংগ করায় ৩ বছর আগে তার চুক্তি বাতিল করা হয় ।
সম্প্রতি দৈনিক লোকসমাজ সহ কয়েকটি পত্রিকায় যুবলীগ নেতা দখল এবং খোলা আকাশের নীচে সারের গো্ডাউন সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলে জেলা পরিষদের পক্ষ হতে সার্ভেয়ার আবু হানিফকে ফুলতলায় তদন্ত পাঠানো হয় ।
তদন্ত শেষে তিনি জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। এই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে জেলা পরিষদের জায়গা বিপুল পরিমান বালু, আকিজ সিমেন্ট, ও সার স্তুপ আকারে মজুত করে পুরা এলাকা বেদখল হয়ে গেছে। স্থানীরা জেলা পরিষদের তদন্ত টিমের কাছে স্বীকার করেন যেএ সব মালামাল যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান লিংকন এবং আবু দাউদ গোডাউন বানিয়ে করে ভাড়া দিয়েছেন।
আবু দাউদের কাছে মোবাইল করে ঘটনা স্থলে এনে জমির দখল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিরব থাকেন। পরে জানান জেলা পরিষদ সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান নিজে এবং তিনি এই ব্যবসার সাথে যুক্ত। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার তাকে মজুতকৃত মালামাল সরিয়েনিতে বললে তিনি নিরব থাকেন।
তদন্ত রির্পোটে আরো বলা হয় যে জেলা পরিষদের জায়গা লীজ না নিয়ে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করার জেলা পরিষদ বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে ।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবর রহমান তদন্ত রিপোর্ট পাবার কথা স্বীকার করেন। তিনি তদন্ত রিপোর্টে জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে জেলা পরিষদ সদস্য সাজ্জাদুর রহমান লিংকন সার,বালু, সিমেন্ট মজুত করেছেন ফলে জেলা পরিষদ বিপুল পরিমান রাজম্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। বলেন বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে জেলা পরিষদের এই দেড় একর জায়গা বালু ভারট করে সার, সিমেন্ট, স্তুপ করে মাসে 9 লাখ টাকার বেশী ভাড়া আদায় করছেন এই যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য । ফলে বছরে তার ভাড়া বাবদ আয় করছেন প্রায় এক কোটি টাকা । একই ভাবে তিনি এই জায়গা ইতিমধ্যে নিজের মালিকানা বলেও প্রচারনা চালিয়েছেন। যুবলীগ নেতার দাপটে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারেন না।