চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃমহানগরীর বেশির ভাগ সড়ক বর্তমানে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে চলতি বছরের বৃষ্টিতে বিটুমিন ও খোয়া উঠে গিয়ে সড়কে আগে সৃষ্ট ছোট ছোট গর্তগুলো পানিতে তলিয়ে ও যানবাহন চলাচলের কারণে বড় বড় গর্তে রূপ নিয়েছে। ফলে নগরবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কয়েকটি স্থানে ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল করতে গিয়ে উল্টে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে প্রতিদিন।
জানা গেছে, মহানগরীতে কেসিসি’র ১ হাজার ২১৫টি সড়ক রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ৬৪০ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রধান সড়ক রয়েছে আড়াই শতাধিক। যার দৈর্ঘ্য ২০০ কিলোমিটারের মতো। চলতি বছরের টানা বৃষ্টিতে এসব সড়কের বেশিরভাগই বিটুমিন ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়কের ময়ূরী ব্রীজের পূর্বের অংশ, মুজগুন্নী মহাসড়ক, শিপইয়ার্ড সড়কের বান্দার আশপাশ, শান্তিধাম মোড়, কুয়েট সড়কসহ বেশ কিছু সড়ক। এছাড়া প্রবল বর্ষণ এবং নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্ণিমা-অমাবশ্যার জোয়ারে বাঁধ উপচে পানি শহরে প্রবেশ করে। এতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর এ জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যবাহী যান চলাচলের কারনে রাস্তাগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে জনসাধারণের চলাচলে দারুণ ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এগুলো মেরামতে তেমন কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
তবে এ ব্যাপারে কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে এসব সড়কের বেশির ভাগ স্থানে বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় খানা-খন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়। এসব ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ৬৫০ কোটি টাকা প্রকল্পের আওতায় সংস্কার করা হবে। কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠার দুর্গাপূজা চলে এসেছে। নগরীতে ১২৯টি মন্ডপে এ পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাদের ভোগান্তি কমাতে আপাতত পূজা মন্ডপের আশেপাশের সড়ক মেরামত করা হচ্ছে। এছাড়া ৬৫০ কোটি টাকা প্রকল্পের আওতায় সংস্কার কাজ শুরুর আগে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত সড়কও মেরামতের পরিকল্পনা রয়েছে।