ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন মার্থা ম্যাকসেলি নামের এক মার্কিন সিনেটর। তিনি যুদ্ধে যোগ দেওয়া মার্কিন যুদ্ধবিমানের প্রথম নারী পাইলট ছিলেন।
বুধবার সামরিক বাহিনীতে যৌন নিপীড়ন বিষয়ক এক শুনানিতে এই সিনেটর বলেন, বিমান বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
সে সময় এই ঘটনার জন্য তিনি নিজেকেই দোষী মনে করছিলেন এবং বিচার ব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস না থাকায় তিনি কোন অভিযোগ করেননি।
তিনি বলেন, অপরাধীরা তাদের ক্ষমতার যথেচ্ছ অপব্যবহার করেছে। সে সময় আমাকে ধর্ষণ করা হয়। তিনি বলেন, অন্যান্য সাহসীদের মতো আমি ধর্ষণের কথা কাউকে জানাইনি।
এই সিনেটর বলেন, অনেক নারী এবং পুরুষের মতোই আমি এসব পদ্ধতির ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি নিজেকেই দোষী ভাবছিলাম। আমি লজ্জিত এবং দ্বিধান্বিত ছিলাম। আমি বিশ্বাস করতাম যে, আমি শক্তিশালী কিন্তু আমার মনে হতো আমার কোন ক্ষমতা নেই।
তবে ধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরলেও বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সেই কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ করেননি এই মার্কিন সিনেটর। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পুরো সামরিক বাহিনীজুড়ে যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে অবসর নেন মার্থা ম্যাকসেলি। মার্কিন বিমান বাহিনীতে তিনি ২৬ বছর চাকরি করেছেন। দুই মেয়াদে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিন তিনি।
সিনেট আর্মড সার্ভিসেস সাব কমিটির শুনানিতে তিনি বলেন, বহু বছর ধরে আমি চুপ করে ছিলাম। কিন্তু আমার ক্যারিয়ারে সামরিক বাহিনীর এই কেলেঙ্কারি এবং সেখানে এসব ঘটনার যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া না দেখানোয় পরবর্তীতে আমি অনুভব করলাম যে, কিছু লোককে জানানো দরকার যে আমিও এ ধরনের ঘটনার শিকার।
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার অন্যান্যদের মতোই আমিও ভেবেছিলাম যে, এগুলো প্রকাশ করলে হয়তো বিভিন্নভাবে আমি আবারও ধর্ষণের শিকার হব।