চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃউন্নত দেশের আদলে খুলনা অঞ্চলের তিনটি মহাসড়কে টোল আদায় শুরু হবে আগামী বছরের জুন মাস থেকে। মহাসড়কগুলোর অনেক স্থানে এখনও সংস্কারের কাজ চলছে। যা আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে। সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে টোল আদায়ের আনুসাঙ্গিক প্রক্রিয়া শুরু করছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর।
সূত্র জানায়, গন্তব্য স্থলে যাওয়া ও আসা উভয় ক্ষেত্রেই যানবাহনের টোল দিতে হবে। মহাসড়কে আদায়কৃত টোল আলাদা একাউন্টে জমা রাখতে হবে। এই টাকা সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের কাজে ব্যয় হবে। তবে টোল আদায় হলেও যাত্রীদের ভাড়া বাড়বে না। মহাসড়কগুলো হচ্ছে ঢাকা-যশোর-খুলনা-মোংলা, ঢাকা-মাওয়া-গোপালগঞ্জ-ফকিরহাট-খুলনা ও যশোর-বেনাপোল।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জর্জিস হোসেন বলেন, খুলনা-ঢাকা ৩৬৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য মহাসড়কে সংস্কার কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হবে। বিদেশী অর্থায়নে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে ছয় লেনের কাজও নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে। সড়ক সংস্কার ও নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টোল আদায়ের কাজ শুরু হবে। এছাড়া যানজট নিরসনের জন্য খুলনা-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সাতক্ষীরার বেনাপোল থেকে ভোমরা শুল্ক স্টেশন পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ ও শেষ হয়েছে। নতুন এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে দেশে তিনটি স্থানে মহাসড়কে টোল আদায় শুরু হয়। সেখানে মোটরসাইকেল পাঁচ টাকা, তিন চাকার গাড়ি দশ টাকা, মাইক্রোবাস ৪৫ টাকা, বড় বাস ৭৫ টাকা, হেবি ট্রাক ২২৫ টাকা ও ট্রেইলার ২৮০ টাকা করে টোল দিতে হচ্ছে।
এ বিষয় পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সাংবদিকদের বলেন, মহাসড়কে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে মালিক পক্ষের কোন আপত্তি থাকবে না। যাত্রীদের ভাড়াও বাড়বে না। তিনি সড়কের মান বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি করেন।
সড়ক বিভাগের একটি সূত্র জানায়, টোল আদায় বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তা না হলে স্থানীয়ভাবে অনেক সংকট সমস্যা সড়ক বিভাগের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব হবে না। এখন দেশের যে তিনটি মহাসড়কে টোল আদায় করা হচ্ছে সে অভিজ্ঞতার আলোকে এসব সড়কে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হবে।