চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বছর জুড়ে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। গত ২ অক্টোবর খুবি’র ২০৩তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এসব কর্মসূচি তুলে ধরেন। এ সময় ভিসি বলেন, পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে এমন জনবান্ধব কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন। বছরব্যাপী ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতীয় শিশু দিবস, স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শোকদিবস ও জেল হত্যা দিবস, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, মুজিবনগর দিবসসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের ডান পাশে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল স্থাপন, প্রধান ফটক নির্মাণ। দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আইসিটি’র সংক্ষিপ্ত কোর্সে প্রশিক্ষণ দেয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ডিসিপ্লিনে বছরের যেকোনো একদিন একটি করে কর্মসূচি পালন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে খুবি’র একটি আর্কাইভ (অভিলেখাগার) স্থাপন এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপনও করা হবে।
প্রেসব্রিফিংয়ে ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ই এমন কর্মসূচি প্রথম। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আইসিটি’র সংক্ষিপ্ত কোর্সের প্রশিক্ষণ দেয়ার মূল উদ্দেশ্য সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে। পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অত্র অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে এমন জনবান্ধব কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের সাথে এ অঞ্চলের মানুষকে যুক্ত করা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন, সভ্যতার স্মারক সংরক্ষণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। একই সাথে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূল ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
শিক্ষার মান বৃদ্ধি, শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে তার গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে তুলে ধরেন ভিসি। তিনি আরও যোগ করেন, আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনে অন্তত ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, ষষ্ঠ সমাবর্তনে রেকর্ড পরিমাণ রেজিস্ট্রেশন করেছে (যা প্রায় পাঁচ হাজার)। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটি কোয়ালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই এবং তার সুফল যেনো এ অঞ্চলের মানুষ পেতে পারে সে লক্ষে কাজ করছি।
গৃহীত কর্মসূচির বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। প্রেসব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, প্রফেসর ড. মোঃ আনিসুর রহমান, প্রফেসর ড. আয়েশা আশরাফ, প্রফেসর ড. আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।