চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের পতন পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের ধর্মীয় সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) প্রধান ফজলুর রহমান।
তিনি আসন্ন আজাদি মার্চকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, যখন সরকার পতন হবে তখন এটি শেষ হবে।
শনিবার পেসওয়ারে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, সমস্ত দেশ আমাদের যুদ্ধক্ষেত্র।
জমিয়তের প্রধান ঘোষণা দেন আগামী ২৭ অক্টোবর সরকারের বিরুদ্ধে লংমার্চ করা হবে ইসলামাবাদের উদ্দেশে। সেখান দলের পরিকল্পনা রয়েছে একটি সভা করার।
তিনি বলেন, আমাদের কৌশল স্থির থাকবে না। আমরা যে কোনো পরিস্থিতি সামলাতে পরিবর্তন করতে পারি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ পদযাত্রায় যোগদিতে সারা দেশ থেকে মানুষ বন্যার মতো আসছে এবং ভুয়া শাসকরা খড়ের মতো এতে ডুবে যাবে।
অন্যান্য বিরোধী দল আপনাকে সহযোগিতা করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশা করছি মার্চে তাদের দেখবেন। শুরু থেকে সব দলই অভিযোগ করছে সাধারণ নির্বাচন জালিয়াতির মাধ্যমে হয়েছে এবং পুনরায় নির্বাচন দেয়া উচিত। সেগুলো একই পাতায় এবং একই মঞ্চে থাকা উচিত।
বৃহস্পতিবার মাওলানা ফজলুর রহমান ইমরান খানের অযোগ্য সরকারকে উৎখাত করতে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ‘আজাদি মার্চ’ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এরপরই বিসয়টি নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) নির্দেশে উলামায়ে ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে পারবে না।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জানা আছে- পিপিপি এবং পিএমএল-এন এমন ভান করছে যে তারা ইসলামাবাদ অচলাবস্থায় অংগ্রহণ করছে না, কিন্তু উভয় দল মাওলানা ফজলকে সমর্থন। এমনকি তারা তাকে তাদের সরকারবিরোধী কর্মসূচির জন্য অর্থ সরবরাহ করছে।
প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মাওলানা ফজল মাদ্রাসার নিষ্পাপ শিশুদের সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন।
কিন্তু তার বোঝা উচিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান সরকারের জয় হয়েছে। তিনি ধর্মকে পুঁজি করে সরকারের কোনো ক্ষতি করতে পারবেন না।