চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃদুই শ্রমিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা বিভাগ ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ১৫টি জেলায় কর্মবিরতি পালন করেছে ট্যাংকলরি শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে ট্যাংকলরি বন্ধ করে দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। ট্যাংকলরি শ্রমিকদের এই আন্দোলনের ফলে খুলনা বিভাগের ১০ ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ১৫ জেলায় সকাল থেকে জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কর্মবিরতি চলাকালে গতকাল দুপুর ১২টায় নগরীর কাশিপুর মোড়ে ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। প্রতিবাদ সভায় আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে শ্রমিক নেতারা। মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এদিকে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে খুলনার ৩টি জ্বালানি তেল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন এবং বিপনন বন্ধ ছিলো। এতে খুলনার বেশ কিছু পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৪ এপ্রিল খুলনার আড়ংঘাটা থানা এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আবদুর রহিম ও মোঃ সাঈদ নামে ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে আড়ংঘাটা থানায় মামলা হয়। সম্প্রতি এই মামলা চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। এতে শ্রমিক ইউনিয়নের ওই দুই সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন ও পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতিসহ ৪টি সংগঠন আন্দোলনের ডাক দেয়।
ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নুর ইসলামের সভাপতিত্বে ও মিজানুর রহমান মিজুর পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন জ্বালানী তেল মালিক সমিতির নেতা শেখ ফরহাদ হোসেন, শেখ মুরাদ হোসেন, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিম, পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সুলতান মাহমুদ পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম কালু, জালাল হাওলাদার, নুর আলম নুরা, হাসান মাহমুদ, মোঃ আল আমিন, শেখ মনিরুজ্জামান খোকন, জাকির হোসেন, মাসুম শেখ, শেখ সোলাইমান, সোহেল মীর ও শামিম চৌধুরী প্রমুখ।