মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নির্মানাধীন মোংলা-খুলনা রেল লাইলের জন্য অধিগ্রহন করা জায়গা রেখে অন্য মালিকানা জমিতে রেল লাইল বসানো কে কেন্দ্র করে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিরোধপুর্ন এ সমস্যা সমাধানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে শনিবার সকাল ১০টায় মোংলা-খুলনা মহাসড়কের দ্ধীগরাজ আপাবাড়ী এলাকায় জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আবদুল খালেক ও বাগেরহাট জেলা প্রশাসক।
এ সময় ওই এলাকার উচ্চ আদালতে আবেদনকারী মোঃ নাসির উদ্দিন হাওরাদার বলেন, মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের বিদ্যারবাহন মৌজার ৩৩৯/১ ও ৩৪০/৩ নং খতিয়ানে যার ৯৪৭ নং দাগে মোট ১.৭১ শতক জমি দকলীয় থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষের যখন মোংলা-খুলনা রেল লাইন তৈরী হওয়ার প্রস্তুতি নেয় তখনই একই মৌজার ৯২১ নং দাগে জমি অধিগ্রহন করেন রেল কর্তৃপক্ষ। ৯২১ দাগের জমি এক ব্যাবসায়ীর হওয়ার তার কাছ থেকে সরকার টাকা পরিমোধ করে সে জমিটুকু অধিগ্রহন করে সরকার। অধিগ্রহন করা জমি তাকা সত্বেও রেল কর্তৃপরে কয়েকজন কর্মকর্তা ওই ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে আর্থিক লাভবান হয়ে অধিগ্রহন কৃত ভুমিতে রেল লাইন না বসিয়ে ৯৪৭ নং দাগে ১.৭১ একর মালিকানা জায়গায় উপর দিয়ে রেললাইন বসানোর প্রস্তাপ দেয় এবং তাকে নোটিশ প্রদান করে। এছাড়া যেখান থেকে রেল লাইনের জমি অধিগ্রহন করা সেখান থেকে ষ্টেশনের দুরত্ব ৬শ ফিট আর যেকান থেকে কর্তৃপক্ষ নিতে চাচ্ছে সেখানের দুরত্ব প্রায় ২১শ ফিট বলে জানায় আদালতে আবেদনকারী। তাই এলাকার জন দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আদালতে রিট পিটিশন করা হয়েছে বলে জানায় নাছির হাওরাদার। যার নং-২৫৫৩/ ২০১৯। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মোঃ হারুনার রশিদ জানান, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক খুলনা সিটি মেয়রসহ তারা বিরোধপুর্ন জায়গায় পরিদর্শন করেছেন। সরকারের যথাযথ নিয়ম মেনে পরবর্তী রেলের কার্যত্রম শুরু করা হবে। এসময় খুলনা সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান ছাড়াও সড়ক বিভাগ ও রেল কর্তৃপরে উর্ধোতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি রেল বিভাগের কর্মকর্তারা।