চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা মহানগরীর শামসুর রহমান রোডে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে হামলা চালিয়েছে হেমলেট বাহিন। ১৫ থেকে ২০ জনের বাহিনী গত সশনিবার বিকালে কাজ চলাকালীন অবস্থায় প্রকল্পের ভেতরে ঢুকে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারদের পিস্তল ঠেকিয়ে বের করে দেন। তবে এ কারণে কাজ বন্ধ হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থা হন্যে হয়ে খুঁজছে হেলমেট বাহিনীকে। অভিযোগের তীর ছাত্রলীগের মহানগর কমিটির এক নেতার দিকে। সেই সাথে টেন্ডার সম্রাট জি কে শামীমের নাম উঠে এসেছে এই প্রকল্পের কাজে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, হামলাকারীরা এসেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়িং কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার জাফর হোসেন, সুপারভাইজার রফিকুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আইনুল হুদাকে লাঞ্চিত করে তাদেরকে প্রজেক্ট থেকে বের করে দেয়। হামলা চালানোর সময় হেলমেট বাহিনীর ১৫/২০ জনের মধ্যে তিন জনের মুখ খোলা ছিল। যাদের মুখ খোলা ছিল তারা এলাকায় অপরিচিত। অন্যরা পরিচিত থাকার মুখ ঢাকা ছিল। ঘটনার সময় হামলাকারীরা বলে এই জায়গার মালিক আমরা, কাজ করতে দেব না। এর পরপরই সেখানে আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা এসে ঘটনার খোঁজখবর নেন। ওই নেতার ভাই এক সময় ছাত্রলীগের নেতা ছিল। তারা নানা কারণে শহরে বিতর্কিত। হামলাকারী টিমের সাথে অদ্যাক্ষর ব, জ, ত, র নামের ছাত্রলীগের নেতা অংশ নেয়। সূত্রগুলো জানায়, আলোচিত টেন্ডার সম্রাট জি কে শামীম নেগোশিয়েট করে এই কাজটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দেয়। হামলাকারীদের ধারণা এই চলমান অভিযান পরিস্থিতির কারণে কাজটি বাতিল হয়ে যাবে। এই সুযোগে তাদের সরিয়ে এখানে তাদের পছন্দের কোনো ঠিকাদারকে বসাতে চায় এই গ্রুপ। কিন্তু এই ঘটনার চার দিন আগে টুটপাড়া কবরখানার সামনে সিসবাস ঝিঙ্গেফুল ভবনে একই কায়দায়য় হামলার বিষয়টি রহস্যজনক।