চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছেন হেফাজতে ইসলামের সদস্যরা।মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে যোহরের নামাজ আদায়ের পর পরই জাতীয় মসজিদের সীমানার ভেতর (উত্তর গেট) তারা বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশের সময় দৈনিক বাংলা মোড় থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে।সমাবেশে তারা ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকারী ও ভোলার সংঘর্ষের বিষয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একই সঙ্গে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো হচ্ছে- আল্লাহ তা’আলা ও মহানবী (সা.)-এর কটূক্তিকারীকে গ্রেফতার, ভোলার ঘটনায় নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার ও সুচিকিৎসা গ্রহণ করা, গুলি বর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ, গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহার করা।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২০ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) কটূক্তি করার জের ধরে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে তৌহীদি জনতার ব্যানারে প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হলে পরে আসা লোকজন মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর চড়াও হন। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী। এ সময় পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক গ্রামবাসী।
সংঘর্ষের ঘটনায় ভোলার অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে বোরহানউদ্দিন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।