চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃদুদককে আর কামড় দেয়া লাগে না, নখের আঁচড়েই দুর্নীতিবাজরা ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। বুধবার নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলা মিলনায়তনে দুদকের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি পরিষেবা বিষয়ে গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য বলেন।
মোজাম্মেল খান বলেন, এখন দুদককে আর কেউ দন্তহীন বাঘ বলার সাহস পায় না। এর কামড় দেয়া লাগে না। নখের আঁচড়েই দুর্নীতিবাজরা ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের উপকারের জন্যই দুদক এত কঠোর হচ্ছে।তিনি বলেন, এই এলাকায় জমি-জমা সংক্রান্ত অপরাধই বেশি। জমি-জমার অপরাধের সাথে যে বা যেসব কর্তাব্যক্তি জড়িত আছেন তারা সাবধান হোন। কেউই ছাড় পাবেন না। আমাদের এই বার্তাকে হুঙ্কার মনে করবেন না। ভুল করলে চড়া মূল্য দিতে হবে। মনে রাখবেন, দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধ কখনই তামাদি হয় না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি বাস্তবায়ন করব, এটাই আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।
দুদকের কমিশনার বলেন, আজকের গণশুনানিতে প্রতিটি অভিযোগ শোনা হবে এবং প্রতিটি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হবে। সরকারি কর্মকর্তারা পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ঘুষ দাবি করলে কমিশনকে জানাবেন। কমিশন ফাঁদ পেতে এদেরকে গ্রেপ্তার করবে।
গণশুনানিতে উপজেলা পোস্ট অফিস, উপজেলা পরিষদ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, প্রাণিসম্পদ বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, আনসার ও ভিডিপি অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, ভূমি হুকুম দখল কার্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম, সেবা প্রদানে দীর্ঘসূত্রতা ও হয়রানির প্রায় ১১০ টিঅভিযোগ উত্থাপিত হয়।
শুনানিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাবুর্চি আ. গনির বিরুদ্ধে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে অনৈতিকভাবে অর্থ গ্রহণের বিষয়টি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বদলির নির্দেশ দেন দুদকের কমিশনার। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আ. গনিকে সাত দিনের মধ্যে বদলি করবেন মর্মে প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করেন।এছাড়া, পল্লী বিদ্যুৎ, ভূমি বিষয়ে অধিকাংশ অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন কমিশনার। বেশকিছু অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তিও করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সংসদ সদস্য কে এম সফিউল্লাহ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিমউদ্দীন, পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, দুদকের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন প্রমুখ।