চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনার খালিশপুরে প্রায় দুই ডজন বাড়ি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও অপর একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার গিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। পাল্টা ক্ষতিগ্রস্তদের জীবননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।বৃহস্পতিবার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ সব অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে খালিশপুরের ৩৯নং আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মুন্সী বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো. রেজাউর করিম রাজার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এসএম রেজা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বাড়িতে বসবাস করছি। ভূমিদস্যু ও জালজালিয়াতি চক্রের হোতা তকদীর হোসেন বাবু ও আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ হোসেন,হাউজিং এষ্টেট’র প্রশাসনিক শাখার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম,অবসর প্রাপ্ত হাফিজুর রহমানসহ নাম না জানা আরো কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহায়তায় জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরি করে আমাকে এবং আমার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের মারধর করে বের করে দিয়ে আমার বসতবাড়ি দখল করে নেয়। শুধু আশরাফ হোসেনই নয় চিহৃত ভুমিদস্যু তকদীর হোসেন বাবু যে বাড়িতে বসবাস করেন তার মুল্য কয়েক কোটি টাকা। দুদক জাতীয় গৃহায়ন খুলনা বিভাগীয় অফিসের প্রকৌশলী দেবাইন.এসডিসহ গুটি কয়েক কর্মচারী ও হাউজিং এষ্টেট’র প্রশাসনিক শাখার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম,অবসর প্রাপ্ত হাফিজুর রহমানদের বিষয়ে তদন্ত করলেই বেরিয়ে যাবে দুর্নীতির প্রর্কৃত চিত্র । টাকা ছাড়া হাউজিং এস্টেট অফিসের কোন কাজ হয় না । কোন বাড়ির নাম পত্তন,নামজারী,সেল পারমিশনসহ যাবতীয় কার্যাদী সম্পন্ন করতে বড়বাবু হিসেবে পরিচিত শহিদুল ইসলামকে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা । সম্প্রতি এই শহিদুল ঘুষ খেয়ে হযম করতে না পাড়ায় সেই ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছেন এমন তথ্য পাওয়া গেছে । শহিদুল ও এসও দেবাইনের মধ্যে রয়েছে গভীর সক্ষতা । শহিদ তকদীর বাবুর সাথে অনৈতিক ভাবে কাজ করে বাবুকে যেমন ডজন ডজনে বাড়ি করার সুযোগ করে দিয়েছেন তেমনি নিজেও অসাধু উপায়ে গড়ে তুলছেন সম্পদের পাহাড় ।
যেখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফের মেঝ বোন বসবাস করছে। বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়েও এই ভূমিদস্যু আশরাফ ও তকদীর বাবুদের ক্ষমতার দাপটে আমি দিশেহারা।তিনি বলেন, শুধু আমার বাড়িই নয় অন্ততপক্ষে খালিশপুর হাউজিং এস্টেটের অন্তত অর্ধশত বাড়ি ভূমিদস্যু আশরাফ তকদীর বাবু গং দখল করে নিয়েছে। খালিশপুরের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত দুই ডজন বাড়ির নম্বর উল্লেখ করে জবরদখলের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
খালিশপুরের হাউজিং এস্টেট নির্বাহী প্রকৌশল অফিসে তদন্ত করলেও আরও জবরদখলের তথ্য জানা যাবে বলে দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেন তারা। নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের নেতা আশরাফের বিভিন্ন ব্যাংকে স্বনামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ অর্থ আছে।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত চলমান শুদ্ধি অভিযানে আশরাফ ও তকদীর বাবুসহ তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্তরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সব বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমার রাজনৈতিক অবস্থান নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রি মহল এমন সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।