চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃজেলা ইমাম পরিষদের প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও মহান সৃষ্টিকর্তা, তার প্রেরিত মহানবী (সাঃ) এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের শাস্তির বিধান নেই, এটা দুঃখজনক। আইনে শাস্তির সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকা ও একের পর এক কটূক্তিকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে ইসলামের দুশমনরা। অথচ রাষ্ট্রের সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে কুৎসা রটানোর অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে জেল-জরিমানার খবর হরহামেশাই দেখা যায়। অবিলম্বে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত রাসুল (সাঃ) কে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন আইন প্রণয়ন ও দণ্ডাদেশ নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় নগরীর ডাকবাংলো চত্বরে জেলা ইমাম পরিষদ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব দাবি তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতার উপর পুলিশের হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। দায়ী পুলিশদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। নবী (সাঃ)-কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় বিপ্লব চন্দ্রকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। আল্লাহ তার রাসুল (সাঃ) ও ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন করতে হবে। উগ্র সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
জেলা ইমাম পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমেদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ডাকবাংলা ও তার আশে পাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মুসল্লি ও ধর্মপ্রাণ মানুষ যোগ দেয় প্রতিবাদ সভায়। সবার কন্ঠে ছিল প্রতিবাদী সুর। নবীর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি ছিলো জোড়ালো কন্ঠে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মাওলানা আছাদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা এএফএম নাজমুস সউদ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা কারামত আলী, মাওলানা মুশফিকুর রহমান, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা নুর সাঈদ জালালী, মাওলানা হেকমত আলী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা মোশারেফ হোসাইন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা মহসিন উদ্দিন, মাওলানা আশিকুর রহমান, মাওলানা রবিউল ইসলাম রাসেল, সুলাইমান হুসাইন নোমানী ও শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা শেষে বিশাল মিছিলটি ডাকবাংল থেকে নিউমার্কেটস্থ বায়তুন নুর জামে মসজিদে গিয়ে শেষ হয়।