চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সকল দুর্নীতিবাজ সরকারের নজরদারিতে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুনিয়ার ইতিহাসে কোন দেশে দলীয় সরকার তাদের দলের বিরুদ্ধে এ ধরনের শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছে বলে আমার জানা নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনা নিজের দলের লোকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিরল হয়ে রইবে। তিনি প্রমাণ করেছেন অপরাধ করলে নিজের দলেরও কোন ছাড় নেই। শেখ হাসিনা সৎ সাহস দেখিয়েছে। সারা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত যেই দুর্নীতি করুক, এটা সরকারের নজরে আছে, সরকার সে আলোকে ব্যবস্থা নিবে। দুদক আ’লীগের অনেক সংসদ সদস্যের দুর্নীতি তদন্ত করছে। কানাডার আদালত রায় দিয়েছে যে বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল, তাদের নেতা বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকতে পারে না। বিএনপি নিজেদের দলের কোন লোকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। আর বিএনপি’র আমলে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার দলের নেতা ও স্বজনরা তার অসুস্থতার যে চিত্র তুলে ধরেন, চিকিৎসকদের অবজারবেশন তেমন নয়। তারা খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা যতটা না উদ্বিগ্ন তারা চেয়ে তারা এ অসুস্থাকে নিয়ে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। এটা নিয়ে তাদের দুরবিসন্ধি রয়েছে। দুই বছর হয়ে গেল তিনি কারাগারে বিএনপি খালেদার মুক্তির জন্য চোখে পড়ার মত কোন আন্দেলন করতে পারেননি। তারা আন্দোলন করে বের করতে পারলে করুক আমার আপত্তি নেই। আদালত থেকে জামিন নিতে হবে চিকিৎসকরা মনে করলে তিনি বিদেশ যেতে পারেন। তারা শুধু হাঁক ডাক দিতে পারে। আন্দোলন করতে পারে না।
জয়নাল হাজারীর আ’লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হওয়ার আলোচনার ব্যাপারে তিনি বলেন, সুনিদির্ষ্টভাবে কিছু বলতে পারছি না, সভাপতি নির্দেশ দিলে সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি যাওয়ার কথা। কিন্তু আমি কোন চিঠি দেয়নি।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের চলে যেতে হবে, আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, ক্রমাগত বাড়ছে। চায়না এবং ভারত থেকে চাপ আসছে। সব দিক থেকে মায়ানমার সরকার চাপে রয়েছে।