সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা সোমবার , ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন | চ্যানেল খুলনা

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃগাজীপুর শহর এলাকার পরিকল্পিত উন্নয়নে গতি আনতে ‘গাজীপুর উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ আইন-২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ( ২৮ অক্টোবর) সকালে তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।পরে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০২০ সালের জন্য সাধারণ এবং সরকারের নির্বাহী আদেশ মিলেয়ে ২২ দিন সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পার্সপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়াও অনুমোদন করা হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশের কূটনেতিক এবং অফিসিয়াল পার্সপোর্টধারীরা ভিসার ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন।

শফিউল আলম বলেন, ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র নানা কাজের মধ্যে মূল কাজ হচ্ছে- ‘মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বিভিন্ন আবাসনের জন্য পরিকল্পনার অনুমোদন।’ তিনি বলেন, আইনে তেমন কোনো বড় পরিবর্তন নেই। চট্টগ্রাম (সিডিএ), খুলনা (কেডিএ) এবং রাজশাহীর (আরডিএ) আইনের অনুরূপভাবে করা হয়েছে আইনটি। তিনটি আইন মোটামুটি একই রকম বলা যায়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখানকার ৫ ধারায় কর্তৃপক্ষের গঠন সম্পর্কে বলা হয়েছে- চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি ২২ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড থাকবে। এই বোর্ড সদস্যদের মেয়াদ হবে ৩ বছর।কর্তৃপক্ষের সভার বিষয়ে ৮ ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রতি তিন মাসে অন্তত একটি সভা হতে হবে এবং সভার তারিখ ও সময় চেয়ারম্যান কতৃর্ক নির্ধারিত হবে। এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম হবে।

তিনি বলেন, সাধারণত সিটি করপোরেশন এবং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জুরিসডিকশন একই হয়ে থাকে। সচিব বলেন, আইনের ৪ ধারায় এর কার্যালয় সম্পর্কে বলা হয়েছে- উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয় সিটি করপোরেশন এলাকায় হবে এবং ইহা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকা এবং সরকারি গেজেটের প্রজ্ঞাপন দ্বারা উক্ত সিটি করপোরেশন এলাকা সংলগ্ন যে সকল এলাকা নির্ধারণ করা হবে, সেসব এলাকায় প্রযোজ্য হবে।

মন্ত্রিসভায় ২০২০ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। সাধারণ ও নির্বাহী আদেশে ছুটি মিলিয়ে মোট ২২ দিন ছুটি থাকবে। এরমধ্যে সাধারণ ছুটি ১৪দিন এবং সরকারের নির্বাহী আদেশে ৮ দিন ছুটি থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০২০ সালে জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। এছাড়া বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে ৮ দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘মুসলমানদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি রাখা হয়েছে ৫ দিন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি রাখা রয়েছে ৮ দিন, খ্রিস্টানদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি রাখা হয়েছে ৮ দিন, বৌদ্ধদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি ৫ দিন। আর পার্বত্য এলাকার জন্য বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ছুটি থাকবে দুদিন। বিশেষ করে বৈশাখে বৈসাবি ও অন্য অনুষ্ঠানগুলো হয়, সেজন্য।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সাধারণ ছুটির ১৪ দিনের মধ্যে ৭ দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার পড়েছে। নির্বাহী আদেশে ৮ দিন ছুটির মধ্যে একদিন সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে পড়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এদিন মন্ত্রিসভার ১৯তম এই বৈঠকে তিনটি এজেন্ডা ছাড়াও এটি তার শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানায় মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, আজ ২৮ অক্টোবর, তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে চার বছর পূর্ণ করলেন। ২০১৫’র ২৯ অক্টোবর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। চার বছরের দায়িত্ব পালনে অর্জন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের ক্যাবিনেটের অনেকগুলো অর্জন আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজে খুবই স্যাটিসফায়েড।’

তার দায়িত্ব পালনকালীন মন্ত্রিসভার অর্জন সম্পর্কে বলতে গিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘আমরা এখন দিনের কাজ দিনেই শেষ করি।’ তিনি উদাহারণ দেন, যেমন আজকে মন্ত্রিসভার বৈঠক হলো আজকেই প্রসিডিংস স্বাক্ষর হয়ে শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করে চূড়ান্ত করেন। এরজন্য আর বিলম্ব হয় না প্রয়োজনে মিটিংয়ের এজেন্ডা বেশি থাকলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল পাঠিয়ে তার স্বাক্ষর আনা যায় বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘তবে শুধু ক্যাবিনেট মিটিং না, ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি, অন্যান্য যে মন্ত্রিসভা কমিটিগুলো আছে সবগুলোতে আমরা এই নিয়মটা অনুসরণ করি। এই চর্চা আমরা অব্যাহত রেখেছি। এটাতে আমরা নিজেরা স্যাটিসফায়েড যে, কাজটা শেষ করে দিলাম। পেন্ডিং থাকল না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমাদের এপিএ (বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি), এনআইএস (জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল), সিটিজেন চার্টার, আরটিআই সবগুলোর ব্যাপারে আমরা ডকুমেন্টশন করেছি। সবকিছু ডকুমেন্টেড আছে, আমাদের ওয়েবসাইটেও দেওয়া আছে।’ বাসস।

https://channelkhulna.tv/

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

সাবেক আইজিপি ও কেএমপি কমিশনারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রের ওপর ডিম নিক্ষেপ

আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তাবলিগ জামাত

কালীগঞ্জে ভারতীয় গরু আনতে গিয়ে যুবক আটক

পাটের ব্যাগ পুনরায় সর্বত্র চালুর উদ্যোগ নিয়েছি : সাখাওয়াত

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।