ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হয়ে চিকিৎসা পান কিন্তু খালেদা জিয়া পান না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইব্রাহিম সরদার স্মরণে মহানগর বিএনপি ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
স্মরণসভায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা তাঁকে (খালেদা জিয়া) বারবার বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলেছি, তাতে খরচ বহনের জন্যও আমরা রাজি আছি বলে জানিয়েছি। কিন্তু তারপরও তাঁকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে না। অথচ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হয়ে বারডেমে চিকিৎসার সুযোগ পান।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এক-এগারোর সময় গ্রেপ্তার হলে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশেও গেছেন। এ রকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে, যারা গ্রেপ্তার হয়ে জেলখানায় অসুস্থ হন, তাঁরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন। এত দৃষ্টান্ত থাকার পরও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
সরকার নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিচ্ছে অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুবারের বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সরকার কী চায়? যেকোনো সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এক-এগারোর কুশীলবদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। অথচ আওয়ামী লীগ এক-এগারোর আন্দোলনকে তাদের আন্দোলনের ফসল বলে দাবি করে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আবুল কালাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আবদুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।