চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনগরীতে রিকশা, ইজিবাইক থেকে নারীদের ব্যাগ, মোবাইল ছিনতাইয়ের সাথে জড়িয়ে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত পরিবারের সন্তানরা। স্কুল-কলেজে পড়া এ সকল যুবক পড়ালেখা ছেড়ে বাইরের জীবনে কে কি করছে তা সঠিকভাবে খোঁজ খবর রাখেন না অভিভাবকরা। এ কারনে তারা লেখাপড়ার দিকে অমনোযোগী হয়ে আড্ডা ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি সোনাডাঙ্গা মডেল থানার একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের সামনে এ ভয়াবহ চিত্র চলে এসেছে। এ সকল যুবকদের খুলনা শহরে পৈতৃক বাড়ি, গাড়ি রয়েছে। তাদের পরিবারে আর্থিক অনটনও নেই। অনেকের বাবা সরকারি চাকুরি ও ব্যবসা বাণিজ্য করেন।
গত ২৭ অক্টোবর সোনাডাঙ্গা থানাধীন এম এম সিটি কলেজ ছাত্রাবাসের সামনে থেকে গ্রেফতার হয় মোবাইল চোর সিন্ডিকেটের ৫ সদস্য। এরা হলো, নিরালা আবাসিক এলাকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে হাসানুল হক ওরফে স্বাধীন (২৩), সিদ্দিকীয়া মহল্ল¬ার মোঃ খাইরুল গাজীর ছেলে জি এম শাহনেওয়াজ বাশার ওরফে শুভ (২৩), নিরালা দিঘিরপাড়া এলাকার রুস্তম শেখের ছেলে মোঃ ফারুক শেখ (২৫), রিয়া বাজার এলাকার মোঃ হাফিজুর গাজী ছেলে মোঃ আজবর হোসেন (২৪) ও গল্ল¬ামারী দরগা ব্রিজের পাশের তৈয়েবুর রহমানের ছেলে মোঃ আবুল তালহা (২০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আদালতের নির্দেশে পুলিশ এদের মধ্যে হাসানুল হক ওরফে স্বাধীন (২৩), মোঃ আজবর হোসেন (২৪) ও মোঃ আবুল তালহা (২০) নামের ৩ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে অনেক তথ্য। রিমান্ডে তারা পুলিশকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ তাদের তথ্যমতে গত ১ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে এ চক্রের আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল ও চারটি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করে। গতকাল শনিবার তাদেরকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সোবাহানমোল্ল্যা জানান, হলিউডের বিভিন্ন ছবি দেখে এ যুবকরা ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। ছিনতাই করা মোবাইল ও মোটরসাইকেল তারা বন্ধু বান্ধবের কাছে বিক্রি করে। তারা রিমান্ডে এ ধরনের তথ্য জানিয়েছেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল হক বলেন, মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা আড্ডার ছলে বিভিন্ন মোড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বসে থাকে। পুলিশ তাদেরকে অনেক সময় জিজ্ঞাসাবাদ করলে পোশাক-পরিচ্ছদ ও কথাবার্তায় কোন সন্দেহ করা যায়নি। তবে সম্প্রতি সময়ে এ চক্রের বিষয়ে অনেক তথ্য আমাদের কাছ এসেছে। আমরা সে তথ্য অনুযায়ী কাজ করছি। এ চক্রের ৯ সদস্য ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে বলেও জানান তিনি।