চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃএমপি মঈনউদ্দীন খান বাদল, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।শোক প্রস্তাবের আলোচনায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন। সংসদ বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদও এ আলোচনায় অংশ নেন।
এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য হুমায়ুন কবীর, সাবেক সংসদ সদস্য মো. কফিল সোনার ও সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট নুরভানুর মৃত্যুতেও সংসদ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভাষা সৈনিক ডা. এম রফিকুল বারী, বীরমুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক মো. শামসুদ্দিন, পদকপ্রাপ্ত পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরো, বিশিষ্ট সাংবাদিক, গবেষক, ও ভাষা সৈনিক মুহাম্মদ মুসা, পাক্ষিক অনন্যার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক দিল মনোয়ারা মনু, বরেণ্য চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম সম্পাদক মকবুল আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের মা চ য়ই এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
এর বাইরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে সংসদ থেকে গভীর শোক প্রকাশ, সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
এর আগে সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী বর্তমান সংসদের সদস্য মঈনউদ্দীন খান বাদলের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন- সরকারি দলের আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, জাসদের হাসানুল হক ইনু, আ স ম ফিরোজ, আবুল কালিাম আজাদ, শাজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মশিউর রহমান রাঙ্গা।
নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংসদে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের বজলুল হক হারুন।
এরপর সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী দিনের অন্যান্য কার্যসূচি স্থগিত করে সংসদে বৈঠক মুলতবি করা হয়। বাসস।