চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃশিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন দেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে অধিকাংশরই অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এরই ধারাবাহিকতায় এসব চিনিকলগুলো পর্যায়ক্রমে সুষমকরণ, আধুনিকীকরণ এবং প্রতিস্থাপনের (বিএমআর) প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বাস্তবায়ন অধীনে রয়েছে বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বিডি লিমিটেডের (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে আয়োজিত অধিবেশনে সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের (নাটোর-২) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী একথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জানান, চিনিকলগুলো সারা বছর চালু রাখার উদ্দেশ্যে ও মৌসুমি ‘র’ সুগার আমদানিপূর্বক হোয়াইট সুগার উৎপাদনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই নাটোর জেলাধীন নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে ‘কো-জেনারেশন’ পদ্ধতিতে মৌসুমকালীন সময় ছাড়াও অমৌসুমে বিদ্যুৎ ও হোয়াইট সুগার উৎপাদনের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রকল্পটি অনুযায়ী কলেবর বৃদ্ধি করে চিনিকলের উপজাত ব্যবহারের মাধ্যমে ‘ডিস্টিলারি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট’ অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে। ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পর বৃদ্ধি পাবে কারখানার চিনি আহরণ। পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে চিনির গুণগত মান, বাড়বে চিনি উৎপাদন, বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে এমনকি উপজাতভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে চিনিকলের আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, সুগার বিট হতে চিনি উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে দেশে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় উৎপাদিত সুগারবিট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চিনি উৎপাদনে যান্ত্রিক সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে ‘ঠাকুরগাঁও চিনিকলের পুরাতন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন ও সুগার বিট থেকে চিনি উৎপাদনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংযোজন’ শীর্ষক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে কলেবর বৃদ্ধি করে ‘কো-জেনারেশন’ পদ্ধতিতে ও অমৌসুমীয় বিদ্যুৎ এবং আমদানিকৃত হোয়াইট সুগার উৎপাদনের পাশাপাশি চিনিকলের উপজাত ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্পটিতে ডিস্টিলারি বায়োগ্যাস ও বায়ো কম্পোস্ট অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর কারখানার চিনি আহরণ হার বৃদ্ধি পাবে। একইভাবে বৃদ্ধি পারে চিনির গুণগত মান। এছাড়া ১৪টি চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যেগুলো বাস্তবায়িত হলে মিলজোন এলাকা পরিবেশবান্ধব হবে বলেও উল্লেখ করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।